ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

এমবাপের লাথি, মেসির অ্যাসিস্ট, পিএসজির কষ্টার্জিত জয়

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশিত: ১১:২৫ এএম, ১২ মার্চ ২০২৩

ব্রেস্টের মাঠে খেলতে গিয়ে পয়েন্ট হারানোর শঙ্কা দেখা দিয়েছিলো পিএসজির। ১-১ গোলে সমতায় শেষ হতে যাচ্ছিলো ম্যাচ। এমন সময়ই ত্রাণকর্তা হিসেবে সামনে এসে হাজির হলেন দুই বিশ্বসেরা ফুটবলার লিওনেল মেসি এবং কিলিয়ান এমবাপে। মেসির অ্যাসিস্টে ফিনিশিং টানলেন এমবাপে। শেষ মুহূর্তের সেই গোলে অবশেষে কোনোমতে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়লো প্যারিসের জায়ান্টরা।

ঘরের মাঠে ব্রেস্টের চেষ্টা ছিল, পিএসজির মত দলের বিপক্ষে যে কোনোভাবেই হোক একটি পয়েন্ট অর্জন করা। যে কারণে দেখা গেলো মেসি, এমবাপেরা যতই বল নিয়ে এগিয়ে আসুক, ততই তারা অফসাইডের মুখোমুখি হয়ে যাচ্ছেন।

শেষ মুহূর্তে ব্রেস্টের অফসাইড ট্র্যাপ ফাঁকি দিয়ে মেসির থ্রো বল সংগ্রহ করে কিলিয়ান এমবাপে প্রতিপক্ষের গোলরক্ষক মার্কো বিজল্টকে ফাঁকি দিয়ে ফাঁকা জালে বল জড়িয়ে দেন।

এর ৫ মিনিট আগেই লাল কার্ড দেখতে পারতেন এমবাপে। ব্রেস্টের ফুটবলার হ্যারিস বেলকেবলাকে কিক দিয়েছিলেন তিনি। এ অপরাধে রেফারি শুধু হলুদ কার্ড দেখিয়েই ক্ষান্ত হন। লাল কার্ড দেখালেও এখানে বলার কিছু ছিল না। এমবাপে এ যাত্রায় বেঁচে গিয়েই শেষ মুহূর্তে গোলটি করে বসলেন।

ম্যাচ শেষে ব্রেস্ট মিডফিল্ডার পিয়েরে লেস মেলু বলেন, ‘আমরা বলবো না যে, এ কারণে (এমবাপেকে লাল কার্ড না দেখানো) হেরে গেছি। কিন্তু আমাদের প্রশ্ন হলো, কেন মাঠে এমন গুরুতর অপরাধ করা সত্ত্বেও সব খেলোয়াড় একই ধরনের শাস্তির মুখোমুখি হবে না (অন্য কেউ হলে তো লাল কার্ড দেখানো হতো। এমবাপে বলে বেঁচে গেছেন)?'

তিনি আরো বলেন, ‘আমি রেফারির কাছে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা জানতে চেয়েছিলাম। তখন রেফারি আমাকে বলেছেন, এটা ছিল একটা মৃদু সংঘর্ষ বা কিক। আমার প্রশ্ন হলো, তাহলে সত্যিকারের কিক বলতে কোনটাকে বোঝায়?’

প্রথমে বেলকেবলাকে পেছন থেকে ফাউল করেন এমবাপে। যে কারণে বেলকেবলা পড়ে যান এবং এমবাপের পা আঁকড়ে ধরেন। এর প্রতিক্রিয়ায় বেলকেবলার পেটেই লাথি মেরে বসেন ফরাসি স্ট্রাইকার। রেফারি এই ঘটনায় এমবাপেকে শুধু হলুদ কার্ডই দেখান। শুধু তাই নয়, বেলকেবলাকেও হলুদ কার্ড দেখান তিনি।

গত সপ্তাহের মাঝপথেই বায়ার্ন মিউনিখের কাছে হেরে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বিদায় নিতে হয়েছে পিএসজিকে। এখন তাদের সামনে কেবলই ফ্রেঞ্চ লিগ জয়ের সুযোগ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা মার্শেইয়ের সঙ্গে অবশ্য তাদের ১১ পয়েন্টের ব্যবধান। ২৭ ম্যাচে পিএসজির পয়েন্ট ৬৬ এবং ২৬ ম্যাচে মার্শেইয়ের পয়েন্ট ৫৫। ২৩ পয়েন্ট নিয়ে ব্রেস্ট রয়েছে ১৫তম স্থানে।

পিএসজি কোচ ক্রিস্টোফ গ্যালতিয়ের বলেন, ‘অবশ্যই এটা (চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বিদায়) আমাদের জন্য হতাশাজনক। তবে আমাদেরকে এগিয়েই যেতে হবে এবং এই শিরোপাটা জিততে হবে। আমাদের দলে দারুণ একতা রয়েছে। দলের মধ্যে এই একতা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।’

৩৭ মিনিটেই মিডফিল্ডার কার্লোস সোলার গোল করে এগিয়ে দেন পিএসজিকে। কিন্তু লিড বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি প্যারিসের দলটি। ৪৩তম মিনিটে পিএসজির গোল পরিশোধ করে দেন ফ্রাঙ্ক হনোরাত। সমতা চলে আসে ১-১ গোলে। অবশেষে ৯০তম মিনিটে গোল করে পিএসজির জয় নিশ্চিত করেন কিলিয়ান এমবাপে।

আইএইচএস/