‘ক্রিকেট খেলার সময় শুনি জাতীয় ফুটবল দলে ডাক পেয়েছি’
ব্রুনাই দারুসসালাম ও সিশেলসের বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রস্তুতির জন্য জাতীয় ফুটবল দলের কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা প্রাথমিকভাবে যে ২৭ জনকে ডেকেছেন তাদের মধ্যে সবচেয়ে কমবয়সী মেহেদী হাসান শ্রাবন। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রের এই গোলরক্ষক এবারই প্রথম বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে খেলার সুযোগ পেয়েছেন। লিগের মাত্র অর্ধেক খেলেই নজর কেড়েছেন কোচের।
বৃহস্পতিবার বিকেলে বাফুফে ভবনে সংবাদ সম্মেলন করে কোচ যখন দল ঘোষণা করেন তখন শ্রাবণ ছিলেন তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার সদর উপজেলার বারোপাড়া নিজ গ্রামে। তখন তিনি এলাকায় একটি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট খেলছিলেন। জাতীয় দলের ক্যাম্পে ডাক পাওয়া, নিজের লক্ষ্য ও স্বপ্ন নিয়ে জাগো নিউজের সঙ্গে কথা বলেছেন বসুন্ধরা কিংস থেকে লোনে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রে খেলা মেহেদী হাসান শ্রাবন।
জাগো নিউজ: জাতীয় ফুটবল দলের প্রাথমিক ক্যাম্পে ডাক পাবেন তা কি প্রত্যাশা করেছিলেন?
মেহেদী হাসান শ্রাবন: জাতীয় দলে খেলবো সেই প্রত্যাশা তো আছেই। তবে এত তাড়াতাড়ি পাবো ভাবিনি। কারণ, আমি তো মাত্র অর্ধেক প্রিমিয়ার লিগ খেলেছি। সুযোগ পেয়েছি জেনে একটু অবাকই হয়েছিলাম।
জাগো নিউজ: আপনি এই মৌসুমে কতগুলো ম্যাচ খেলেছেন?
মেহেদী হাসান শ্রাবন: আমি স্বাধীনতা কাপের ৪টি, ফেডারেশন কাপের ১টি ও প্রিমিয়ার লিগের ৯টি ম্যাচ খেলেছি।
জাগো নিউজ: কখন, কার কাছে আপনি জানতে পেরেছিলেন জাতীয় দলে ডাক পাওয়ার খবর?
মেহেদী হাসান শ্রাবন: আমি তখন এলাকায় একটি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট খেলছিলাম। আমি ব্যাটিং করছিলাম। মোহামেডানে খেলেন শান্ত নামের আমার এক বড় ভাই। তিনিই আমাকে ফোনে বার্তা পাঠিয়ে খবরটি দিয়েছিলেন।
জাগো নিউজ: তখন কেমন অনুভূতি ছিল?
মেহেদী হাসান শ্রাবন: তা ভাষায় প্রকাশের মতো না। আমার বাবা নেই। তিনি মারা গেছেন ২০০৭ সালে। আমি প্রথমেই খবরটি মাকে জানাই। তিনি অনেক খুশি হয়েছিলেন। বাবা বেঁচে থাকলে তিনিও অনেক খুশি হতেন।
জাগো নিউজ: আপনিতো যুব দলেও খেলেছেন তাই না?
মেহেদী হাসান শ্রাবন: হ্যাঁ। আমি অনূর্ধ্ব-১৫ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ খেলেছি এবং এফসি অনূর্ধ্ব-১৬ বাছাই খেলেছি।
জাগো নিউজ: জাতীয় দলের ক্যাম্পে ডাক পাওয়ার পর আপনার লক্ষ্য কি?
মেহেদী হাসান শ্রাবন: আমার চেষ্টা থাকবে মূল দলে জায়গা করে নেওয়া এবং জাতীয় দলের হয়ে ম্যাচ খেলা।
জাগো নিউজ: আপনার পরিবারের কেউ খেলাধুলা করেন?
মেহেদী হাসান শ্রাবন: আমরা ৩ ভাই ২ বোন। আমি সবার ছোট। আমাদের পরিবারের আর কেউ খেলাধুলা করেন না।
জাগো নিউজ: কিভাবে ফুটবলে এলেন?
মেহেদী হাসান শ্রাবন: ২০১৭ সালে আন্তঃস্কুল ফুটবল টুর্নামেন্টে আমাদের স্কুল বাখরাবাদ গ্যাস আদর্শ বিদ্যালয় চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। আমি টাইব্রেকারে দুটি শট ঠেকিয়েছিলাম। তারপর স্কুলের স্যারের পরামর্শে আমি বিকেএসপিতে ট্রায়াল দেই। সিলেট ও বরিশালে ট্রায়ালে টিকেছিলাম। ঢাকায় চূড়ান্ত ট্রায়ালে সুযোগ পেয়েও মেডিক্যালে বাদ পড়ি। তারপর বাফুফের দেশব্যাপি ট্যালেন্ট হান্ট প্রোগ্রামে সুযোগ পাই।
জাগো নিউজ: গোলরক্ষকদের মধ্যে আপনার আইডল কে?
মেহেদী হাসান শ্রাবন: দেশে আমার প্রিয় গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো এবং বিদেশে ইংল্যান্ডের জর্ডান পিকফোর্ড।
জাগো নিউজ: ধন্যবাদ।
মেহেদী হাসান শ্রাবন: আপনাকেও ধন্যবাদ।
আরআই/আইএইচএস/