ফাইনালে ফেবারিট হয়েই মাঠে নামবেন শামসুন্নাহাররা
সিনিয়র সাফের পর এবার অনূর্ধ্ব-২০ সাফের শিরোপা জয়ের হাতছানি বাংলাদেশের মেয়েদের সামনে। গত সেপ্টেম্বরে নেপাল থেকে সিনিয়র সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ট্রফি জিতে দেশে ফিরেছিলেন সাবিনা-কৃষ্ণারা। এবার ঘরের মাঠে যুব সাফ জেতার সুযোগ শামসুন্নাহার-রূপনাদের সামনে। সিনিয়র সাফের মতো যুব সাফের ফাইনালেও প্রতিপক্ষ নেপাল।
কাঠমান্ডুতে ফাইনালে স্বাগতিকদের ৩-১ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পড়েছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। সাবিনাদের অনুজরাও কি পারবে চ্যাম্পিয়ন হাসির সেই ধারা ধরে রাখতে?
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে শিরোপা জয়ের চ্যালেঞ্জে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও নেপাল।
মেয়েদের সাফের টুর্নামেন্টে গত ৬ মাসে এ নিয়ে তৃতীয়বার শিরোপার লড়াই বাংলাদেশ ও নেপালের। জাতীয় দলের লড়াইয়ে বাংলাদেশ জিতলেও গত ডিসেম্বরে ঘরের মাঠে পারেনি অনূর্ধ্ব-১৫ দল।
তবে অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপে দুর্দান্ত খেলা শামসুন্নাহার-আকলিমারা চ্যাম্পিয়ন হতে পারবেন বলেই সবার বিশ্বাস। লিগ পর্যায়ের তিনটি ম্যাচই দারুণ খেলেছে স্বাগতিক মেয়েরা।
তিন ম্যাচের দুটি জিতে এবং একটি ড্র করে ৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষ দল হিসেবেই ফাইনাল খেলছে বাংলাদেশ। অন্যদিকে নেপাল তিন ম্যাচের দুটি জিতে ৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় দল হিসেবে ফাইনালে।
তবে তাদের বড় কৃতিত্ব লিগ ম্যাচে ভারতকে হারানো। পিছিয়ে পড়া ম্যাচ জিতে ভারতকে বিদায় করে সবার আগে ফাইনালে নাম লিখিয়েছিল হিমালয়ের দেশের মেয়েরা।
বাংলাদেশ ও নেপালের লিগ ম্যাচের ফল অবশ্য স্বাগতিকদের পক্ষেই। প্রথম ম্যাচেই নেপালের মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। জিতেছিল ৩-১ গোলে।
ফাইনাল নিয়ে বাংলাদেশ কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন বলেছেন, ‘নেপালও শক্তিশালী দল। তারা ভারতকে হারিয়েছে। আমরাও শক্তিশালী। ভালো একটা ফাইনাল হবে। সুযোগ আসবে দুই দলের সামনেই। যারা সুযোগ কাজে লাগাতে পারবে, তারাই হাসবে শেষ হাসি।’
জাতীয় দলে খেলা দুই খেলোয়াড় অধিনায়ক শামসুন্নাহার জুনিয়র ও গোলরক্ষক রূপনা চাকমা বাংলাদেশ দলকে সাহস যোগাচ্ছেন। দুইজনই খেলছেন দুর্দান্ত।
ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের ড্র সম্ভব হয়েছিল রূপনা চাকমার দুর্দান্ত কয়েকটি সেভের কারণে। আর ভুটানকে ৫ গোলে উড়িয়ে দেওয়ার কারিগর ছিলেন অধিনায়ক। তিনি হ্যাটট্রিক করেছেন, গোল করিয়েছেন। দক্ষ দলনেতা হিসেবেই মাঠজুড়ে বিচরণ ছিল তার।
আরআই/এমএমআর/জেআইএম