মেসিকে আটকানোর চেষ্টা করবে না ক্রোয়েশিয়া!
আর্জেন্টিনার বিপক্ষে মাঠে নামবে কোনো একটি দল, আর তারা লিওনেল মেসিকে নিয়ে পরিকল্পনা করবে না, তা অবিশ্বাস্য। প্রতিটি দলই বিশেষ করে মেসিকে নিয়ে বিশেষ পরিকল্পনা করবে- এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বিশ্বকাপের মত টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে মাঠে নামার আগে নাকি মেসিকে নিয়েই কোনো পরিকল্পনা নেই ক্রোয়েশিয়ার।
এমনটাও কী সম্ভব? বিশ্বসেরা ফুটবলারকে কিভাবে আটকাবে, সে পরিকল্পনা করবে না ক্রোয়েশিয়ানরা? আপাতত ব্রুনো পেটকোভিচের কথা শুনে তেমনটাই মনে হচ্ছে।
পেটকোভিচ কিন্তু আর্জেন্টিনার বিপক্ষে কী রণনীতি হবে, সেটা আগেই ফাঁস করে দিয়েছেন। তিনি সরাসরিই জানিয়ে দিয়েছেন, শুধুমাত্র মেসিকে আটকে রেখে তো লাভ নেই। জিততে হলে, পুরো আর্জেন্টিনা দলকেই আটকাতে হবে।
কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিলের বিপক্ষে নেইমারের গোলে পিছিয়ে পড়ার পর এই ব্রুনো পেটকোভিচের গোলেই সমতা ফিরিয়েছিলো ক্রোয়েশিয়া। আর্জেন্টিনার বিপক্ষে কী পরিকল্পনা আঁটছেন? তা নিয়ে পেটকোভিচ বলেন, ‘আমরা মেসিকে আটকানোর কোনও পরিকল্পনা এখনও করিনি। সাধারণত আমরা কোনও একজনকে আটকানোর চেষ্টা করি না। গোটা দলকে আটকানোর পরিকল্পনা করে নামি।’
তাই বলে মেসির মত ফুটবলারকে আলাদা করে আটকানোর পরিকল্পনা করবেন না তারা! বিশ্বকাপের স্বপ্নের ফর্মে থাকা মেসি কী করতে পারেন সেটা কি ক্রোয়েশিয়ার অজানা? পেটকোভিচ বলেছেন, ‘মেসির জন্য আলাদা করে কাউকে রাখব না। কারণ, আর্জেন্টিনা দলে মেসি ছাড়াও আরও কয়েকজন ভালো ফুটবলার রয়েছে। তাই পুরো দলকে আটকাতে হবে। পুরো দল আটকে গেলে একা মেসি কিছু করতে পারবে না; কিন্তু শুধু মেসিকে আটকাতে গেলে ফল উল্টোটা হতে পারে।’
সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগে কার্ড সমস্যায় নেই ক্রোয়েশিয়ার কোনও ফুটবলার। পুরো দলকেই পাবেন কোচ জ্লাতকো দালিচ। তবে, আর্জেন্টিনা দলের জন্য শঙ্কা আছে। কোয়ার্টার ফাইনালেই তাদের অন্তত ৯জন ফুটবলার হলুদ কার্ড দেখেছেন। সেমিতে কার্ড দেখলে ফাইনালটাই মিস হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা।
মেসি যেমন মাঝমাঠ থেকে খেলা তৈরি করেন, তেমনই ক্রোয়েশিয়ার মাঝমাঠ তাদের প্রধান শক্তি বলে জানিয়েছেন পেটকোভিচ। বলেছেন, ‘লুকা মদ্রিচ, মাতেও কোভাচিচ ও মার্সেলো ব্রোজোভিচ ক্রোয়েশিয়ার ইতিহাসের সেরা তিন মিডমিল্ডার। ওদের পাস দেওয়ার পরে আমাদের আর কিছু ভাবতে হয় না।’
কোয়ার্টারে টাইব্রেকারে ব্রাজিলকে হারিয়েছিলো ক্রোয়েশিয়া। গোলপোস্টের চিচে লিভাকোভিচ থাকায় তারা অনেক ঠান্ডা মাথায় পেনাল্টি নিতে পেরেছেন বলে জানিয়েছেন পেটকোভিচ। তিনি বলেন, ‘পেনাল্টি নেওয়ার সময় মানসিক দৃঢ়তা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, সে সময় মাথার উপর প্রচণ্ড চাপ থাকে; কিন্তু দলে লিভাকোভিচের মতো গোলরক্ষক থাকলে চাপ অনেকটাই কমে যায়।’
আইএইচএস/