ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

নিউজিল্যান্ড সফর ও বিশ্বকাপ নিয়ে এখনই ভাবতে রাজি নন সোহান

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশিত: ০৭:০৯ পিএম, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২

জিম্বাবুয়ে সফরে অধিনায়ক হিসেবে হাতের আঙ্গুলে ব্যাথা পেয়ে আহত হয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন। আবার ফিরে এসেও ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক হলেন নুরুল হাসান সোহান।

আগামী ২৫ ও ২৭ সেপ্টেম্বর দুবাই স্টেডিয়ামে আরব আমিরাতের বিপক্ষে যে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ, তাতে টাইগারদের ক্যাপ্টেন সোহান। সাকিব আল হাসানের অনুপস্থিতিতে দল পরিচালনা করে আহত হয়ে মাঠের বাইরে ছিটকে পড়া আর ফিরে এসেও সাকিব আল হাসান না থাকায় নেতৃত্ব ফিরে পাওয়া- এটাকে কাকতালীয় ঘটনা না বলে উপায় কি?

নুরুল হাসান সোহান তাই নিজেকে সৌভাগ্যবান ভাবতেই পারেন। খানিক পুলক অনুভব করতেই পারেন। অন্য যে কেউ হলে তাই ভাবতেন। হয়তো বলতেন, সত্যিই নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে হচ্ছে। ব্যাথা পেয়ে যখন মাঠ ছাড়ি তখনো ক্যাপ্টেন ছিলাম আর এবার ইনজুরি কাটিয়ে সুস্থ হয়ে দলে ফিরেও নেতৃত্ব ফিরে পেলাম।

কিন্তু শুনে অবাক হবেন নুরুল হাসান সোহান তেমন কিছু ভাবার পাত্র নন। তার চিন্তায় ওসব নেই। আজ বৃহস্পতিবার পড়ন্ত বিকেলে দুবাই যাওয়ার আগে একবারের জন্যও তেমন চিন্তা মাথায় আসেনি সোহানের।

দুপুরে জাগো নিউজের সঙ্গে একান্ত আলাপে তার সোজা-সাপ্টা কথা, ‘আমার মাথায় ওসব নেই। জিম্বাবুয়ে সফরে মাঠ থেকে যখন হাতের আঙ্গুলে ব্যাথা পেয়ে বেরিয়ে আসি, তখনও অধিনায়ক ছিলাম। আবার অধিনায়ক হয়েই ফিরছি। এসব কোনো চিন্তা আমার মাথায় নেই। আমি পুরো ব্যাপারটি অন্যভাবে দেখছি। আমার ভাবনায় শুধু মাঠে ফেরা। প্রায় ২ মাস বাইরে ছিলাম। আল্লাহর রহমতে আবার মাঠে ফিরতে যাচ্ছি। সেটাই আমার কাছে বড়। অধিনায়ক হয়ে নাকি সহ-অধিনায়ক হিসেবে, সেটা বড় কথা নয়।’

এখন আপনার ইনজুরি অবস্থা কি? আঙ্গুলের ব্যাথা কি পুরোপুরি কমেছে? সোহানের জবাব, ‘আমার ইনজুরি মোটামুটি ভাল। তবে একটু-আধটু ব্যাথা আছে। তা নিয়ে খেলতে পারবো ইনশাল্লাহ। অসুবিধা হবে না। আবার দলে ফিরে আসতে পেরেছি। সেটাই আসল কথা। অন্য কিছু নিয়ে ভাবছি না।’

তাহলে আপনার ভাবনা এখন মূলতঃ কী নিয়ে? সোহানের জবাব, ‘আমার চিন্তা হলো মাঠে পারফর্ম করা। আমি দলের উপকারে আসে এমন পারফর্ম করতে চাই। সব সময় ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হতে চাই। আমার কোনো সময়ই বড় ইনিংস আর লম্বা চওড়া ইনিংস খেলার নির্দিষ্ট লক্ষ্য থাকে না। হাফ সেঞ্চুরি করবো, শতরান হাঁকাবো এবং দীর্ঘ ইনিংস সাজাবো- এমন চিন্তার চেয়ে সবসময় ভাবি কিভাবে দলকে হেল্প করা যায়। দলের উপকারে আসে এমন পারফর্ম করা যায়। সেটা যদি ১০-১৫ রানও হয় আমার কাছে সেটাই বড়। আমি লম্বা চওড়া ইনিংস খেললাম কিন্তু দল জেতাতে পারলাম না। ওই ইনিংস দলের কোনো উপকারেই আসলো না। তা আমার পছন্দ নয়। আমার লক্ষ্য হলো দলের জয়ে ভূমিকা রাখা। সেটা যখন যেমন প্রয়োজন, তখন তেমন করেই আমি চেষ্টা করি। কোনো সময় সিচুয়েশন ডিমান্ড করলে ফিফটি বা বড় ইনিংস আর তা না হয়ে যদি ১০ বলে ১৫ রান দরকার পড়ে তবে সেটা করাই আমার মূল লক্ষ্য থাকে। আমি সেটাই করতে চাই।’

নিউজিল্যান্ড সফর ও বিশ্বকাপ নিয়ে আপনার লক্ষ্য কি? এমন প্রশ্নের জবাবে সোহান বলেন, ‘আপাততঃ এতদূর ভাবতে চাই না আমি। এখন মাঠে ফেরাই প্রথম ও প্রধান লক্ষ্য। দুবাইতে আরব আমিরাতের বিপক্ষে ২ ম্যাচ নিয়েই যত ভাবনা আমার।’

‘তারপরও সময় আসলে দেখা যাবে। স্টেপ বাই স্টেপ ভাবতে চাই। এখনই নিউজিল্যান্ডের ৩ জাতি আসর আর বিশ্বকাপ নিয়ে ভাবছি না। আমার এখনকার লক্ষ্য আরব আমিরাতের বিপক্ষে ২ ম্যাচের সিরিজ। সেখানে মাঠে ফিরতে মুখিয়ে আছি। আমার লক্ষ্য নিজেকে মেলে ধরা। সেরাটা দেয়া। পরিবেশ-পরিস্থিতি যা ডিমান্ড করবে তা ফুলফিল করা।’

আপনিতো উইকেটরক্ষক কাম ব্যাটার। দলে ব্যাটার আছেন বেশ কজন। আপনার ব্যাটিং পজিশন কী হবে? ‘তা এখনও জানি না। সেটা বসে টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে কথা বলে ঠিক করবো।’

নতুন টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজারের সঙ্গে কি কথা হলো? আপনাকে নিয়ে তার ভাবনা কী? সোহানের উত্তর, ‘আমি যেহেতু দলের বাইরে ছিলাম। তাই সেভাবে এখনো কথা হয়নি। তিনি আমার কাছে কী চান? তার লক্ষ্য ও পরিকল্পনা কী? তা দুবাই গিয়ে প্র্যাকটিসে কথা হবে আশা করি।’

দুবাইতে আপনার নেতৃত্বে দল দুটি টি-টোয়েন্টি খেলবে। তা নিয়ে বিশেষ কোন পরিকল্পনা? ‘নাহ! বিশেষ কোন ভাবনা নেই। আমার মনে হয় দুবাইতে প্র্যাকটিস ও ২টি ম্যাচ খেলা আমাদের প্রস্তুতিতে যথেষ্ঠ কাজ দেবে। আমরা আবার প্র্যাকটিস করতে পারবো। পাশাপাশি ম্যাচ খেলাও হবে। আমার বিশ্বাস দলটি বেশ সাজানো গোছানো। কজন বেশ ভাল পারফরমার আছে। সব মিলে আমি আশাবাদি আমরা ভাল করতে পারবো।’

এআরবি/আইএইচএস