ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

৪৫০ কোটি টাকার প্রকল্পে তিনটি একাডেমি খুঁজছে বাফুফে

রফিকুল ইসলাম | প্রকাশিত: ০৪:৫৬ পিএম, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২

দেশের ফুটবলের পুনর্জাগরণসহ শক্তিশালী জাতীয় দল গঠনের লক্ষ্যে বছরব্যাপী নানা প্রতিযোগিতা আয়োজন, প্রশিক্ষণ ও ফুটবল ফেডারেশনের কাঠামো শক্ত করতে সরকারের কাছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন ৪৫০ কোটি টাকা চেয়ে যে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) জমা দিয়েছে তার অন্যতম অবকাঠামো হবে তিনটি আধুনিক একাডেমি। যার একটি একাডেমি হবে নারী ফুটবলের জন্য, দুটি পুরুষ ফুটবলের।

তিনটি একাডেমির জন্য যুৎসই জায়গা খুঁজতে নেমে পড়েছে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। তিনটি পৃথক শক্তিশালী কমিটি ইতিমধ্যে তিনটি স্থান পরিদর্শন করেছে। এ তিনটি ভেন্যু হলো জামালপুরের বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আবদুল হাকিম স্টেডিয়াম, রাজশাহীর মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি স্টেডিয়াম ও মাগুরার বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান স্টেডিয়াম।

এ তিনটি স্টেডিয়ামের মধ্যে পরিদর্শনকারী কমিটির কাছে নারীদের একাডেমির জন্য পছন্দ করেছে রাজশাহীর মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি স্টেডিয়ামকে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার আরেকটি কমিটি পরিদর্শন করবে গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়াম। গোপালগঞ্জ, মাগুরা ও জামালপুরের মধ্যে যে কোন দুটি স্টেডিয়াম বাছাই করা হতে পারে ছেলেদের একাডেমির জন্য।

চারটি ভেন্যু পরিদর্শন করে সেখানকার সুযোগ-সুবিধা কী আছে, একাডেমি তৈরি করা সম্ভব কি না তার সম্ভাব্যতা যাচাই করে কমিটিগুলো রিপোর্ট জমা দেবে প্রকল্প পরিচালকের কাছে।

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সহকারী ম্যানেজার (প্রকল্প) মো. তানভীর আহমেদ সিদ্দিকী জাগো নিউজকে বলেছেন, ‘এর আগে তিনটি কমিটি যে তিনটি স্টেডিয়াম পরিদর্শন করেছে তার মধ্যে রাজশাহীকে মেয়েদের একাডেমির জন্য তারা প্রাথমিকভাবে পছন্দ করেছে। তারা এখন ওই স্টেডিয়ামের সম্ভাব্যতা যাচাই করে রিপোর্ট জমা দেবে। গোপালগঞ্জের স্টেডিয়াম পরিদর্শনের পর ছেলেদের দুটি একাডেমির জন্য উপযুক্ত স্টেডিয়াম নির্বাচন করা হবে।’

বাফুফের ওই কর্মকর্তা আরও বলেছেন, ‘প্রতিটি একাডেমিতে ৫০ জন ফুটবলার ও ১০ জন কোচ ও অন্যান্য স্টাফ থাকবেন। সমগ্র দেশ থেকে ট্যালেন্ট হান্টিং করে কেন্দ্রীয়ভাবে আরেকটি বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রতিভাবান খেলোয়াড় নির্বাচন করা হবে। সেখান থেকে প্রতিটি একাডেমিতে খেলোয়াড় পাঠানো হবে।’

৪৫০ কোটি টাকার এই প্রজেক্টগুলো ৫ বছর মেয়াদী। টাকা পাওয়ার পর ৫ বছর গননা শুরু হবে। দেশের ফুটবলের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় এই প্রকল্পটি নিয়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের মধ্যে কয়ে দফা সভাও হয়েছে।

এ বিষয়ে বাফুফের সাধারণ সম্পাদক মো. আবু নাইম সোহাগ বলেছেন, ‘একটা ডিপিপি’র (উন্নয়র প্রকল্প প্রস্তাব) আওতায় ফুটবল উন্নয়নের জন্য সরকারের কাছে এই অর্থ চাওয়া হয়েছে। যার মাধ্যমে আমাদের ফুটবলের প্রধান প্রধান ক্ষেত্রগুলো; যেমন, পুরুষ জাতীয় ফুটবল দল, নারী জাতীয় ফুটবল দল, বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ, চ্যাম্পিয়নশিপ লিগগুলোকে আরো সুসংহত করার জন্য এই অর্থ ব্যবহার করা হবে।’

কেবল রাজধানীর ফুটবলই নয়, ৬৪ জেলার ফুটবল উন্নয়নের বিষয়টিও আছে এই প্রকল্পে। এই প্রকল্পের অর্থ বাফুফে বেশি ব্যবহার করবে সরাসরি ফুটবল উন্নয়নে। বাফুফে আশা করছে, এই অর্থ পাওয়া গেলে আগামী ৫ বছরে দেশের ফুটবলের চিত্রটা বদলে যাবে।

আরআই/এসএএস/জিকেএস