ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

জাতীয় দলের অধিনায়ক হওয়ার স্বপ্ন স্কুল ফুটবলের সেরা রাহুলের

মোশারফ হোসাইন | প্রকাশিত: ০৪:৩৬ পিএম, ০৭ জুলাই ২০২২

বাফুফে জাতীয় স্কুল ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২২ এর ফাইনাল ম্যাচে নীলফামারীর ছমির উদ্দিন স্কুল এন্ড কলেজের কাছে ১-০ গোলে হেরে কান্নায় ভেঙে পড়েন যশোরের বেনাপোল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ও দলের অধিনায়ক সাইদুর রহমান রাহুল।

পুরো টুর্নামেন্ট মাতিয়ে দলকে জেতাতে না পারার আক্ষেপ ও কষ্ট থেকে কান্নায় ভেঙে পড়েন এ কিশোর। পরে দলের কর্মকর্তারা এসে সান্ত্বনা দিয়ে কান্না থামান। রাহুলের এই কান্না ভালো খেলেও হেরে যাওয়ার। পুরো ম্যাচ যেমন পায়ে বল রেখে মাতিয়েছেন, টুর্নামেন্টজুড়েও মনমাতানো ফুটবল খেলতে দেখা যায় রাহুলকে।

তাই তো বুধবার শেষ হওয়া বাফুফে জাতীয় স্কুল ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২২ এর সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারটি তার দখলে। পুরস্কার পাওয়ার পর এই সেরা খেলোয়াড়ের সঙ্গে কথা বলেছেন জাগো নিউজের ফিচার লেখক মোশারফ হোসাইন।

আলাপচারিতায় সাইদুর রহমান রাহুল জানান তার ভবিষ্যত পরিকল্পনা। সেরা খেলোয়াড় হওয়ার পিছনে যাদের অবদান আছে কৃতজ্ঞতা জানান তাদেরও।

জাগো নিউজ: ম্যাচ হেরেও সেরা ফুটবলার হলেন অনুভূতিটা কেমন?

সাইদুর রহমান রাহুল: ম্যাচ হেরেও আমি সেরা, আমার দল সেরা, হারার দিক থেকে তো আমরা সেরা। এর থেকে ভালো পরাজয় আর হতে পারে না। প্রতিটি ম্যাচ আমি ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলেছি, আমার খেলা ভালো হয়েছে বলে বাফুফে আমাকে সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত করেছে, আমি তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই।

জাগো নিউজ: এখন আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী? নিজেকে কোথায় দেখতে চান?

সাইদুর রহমান রাহুল: যেহেতু ফুটবলের সাথে জড়িয়ে গেছি, এত দূর পর্যন্ত আসতে পেরেছি। নিজেকে জাতীয় দলে দেখতে চাই, অধিনায়কত্ব করতে চাই জাতীয় দলে এবং ফুটবল লিগে সাবেক ফুটবলার সালাম মুর্শেদীর যেই রেকর্ড আছে গোলের, সেটি ভাঙতে চাই।

জাগো নিউজ: পরিবার আপনার ফুটবল খেলাকে কীভাবে দেখে? তারা কি চায় আপনি ফুটবলার হন?

সাইদুর রহমান রাহুল: প্রথম দিকে আমার পরিবার ফুটবল খেলাকে সাপোর্ট দিতো না। পরে যখন দেখেছে আমি ভালো খেলি, বিভিন্ন জায়গায় যাই, মানুষ আমাকে চেনে- তখন থেকে পরিবার আমার খেলাকে মেনে নিয়েছে।

জাগো নিউজ: এত দূর আসার পেছনে কাদের অবদান আছে, কাউকে কি কৃতজ্ঞতা জানাতে চান?

সাইদুর রহমান রাহুল: প্রথমে আমি আমাদের মেয়র সাহেব আশরাফুল আলম লিটনকে কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই। তিনি তার বাবার নামে একটি একাডেমি করেছেন, সেখান থেকে আমার উঠে আসা। সাবেক ফুটবলার আমার কোচ সাব্বির রহমান পলাশ স্যার আমাকে স্বপ্ন দেখান, ফুটবলার হতে উৎসাহিত করেন এ থেকেই আমি এখন ফুটবলে।

এসএএস/জিকেএস