দুই বাংলার ফুটবল লড়াইয়ের অপেক্ষা
ঢাকার আবাহনী ও কলকাতার মোহনবাগানের শেষ লড়াইয়ের কথা মনে আছে? দিন, মাস বছর ঘুরে অনেক দিন হয়ে গেছে দুই বাংলার দুই জনপ্রিয় দলের দেখা হয় না। সেই যে ২০১৭ সালের ৩১ মে ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল, তারপর আর কোথাও সাক্ষাত হয়নি তাদের।
দীর্ঘ ৫ বছর পর ১৯ এপ্রিল দেখা হচ্ছে দুই দলের। এবার রণক্ষেত্র কলকাতার যুব ভারতী ক্রীড়াঙ্গন। শেষ সাক্ষাতের ফলাফল অনেকে ভুলে গেছেন হয়তো। ১-১ গোলে ড্র হয়েছিল ম্যাচটি।
আবাহনীর কাছে মোহনবাগান হারতেই বসেছিল। ৮ মিনিটে এগিয়ে গিয়েছিল আবাহনী। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের দর্শকরা যখন জয়োৎসবের প্রস্তুতি শুরু করবে ঠিক তখন পেনাল্টি পেয়ে যায় অতিথি দলটি। ওই পেনাল্টিতেই সর্বনাশ আবাহনীর। ৮৩ মিনিটে পাওয়া পেনাল্টি কাজে লাগিয়ে হার এড়িয়েছিল কলকাতার জায়ান্টরা।
সেটি ছিল এএফসি কাপের গ্রুপ ম্যাচ। এবার ১৯ এপ্রিলের ম্যাচটি এএফসি কাপের প্লে-অফের শেষ ধাপ। আগের ম্যাচে মোহনবাগান ৫-০ গোলে হারিয়েছে শ্রীলংকার ক্লাব ব্লু স্টারকে হারিয়েছে এবং আবাহনী ওয়াকওভার পেয়েছে মালদ্বীপের ক্লাব ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে। ঐ ম্যাচটি হওয়ার কথা ছিল সিলেটে।
আবাহনী-মোহনবাগানের মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে শেষ হবে এএফসি কাপের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের প্লে-অফ পর্ব। যারা জিতবে তাদের মিলবে এএফসি কাপের গ্রুপ পর্বের টিকিট।
এই মাঠেই ১৮ মে শুরু হবে ‘ডি’ গ্রুপের খেলা। এই গ্রুপে আগে থেকেই অপেক্ষা করছে বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংস, মালদ্বীপের মাজিয়া স্পোর্টস অ্যান্ড রিক্রিয়েশন ক্লাব ও ভারতের গকুলাম কেরালা।
গ্রুপ পর্বের হিসেব পরে। আবাহনী ও মোহনাবাগানের গ্রুপ পর্বে ওঠার লড়াইটাই এখন আলোচনায় ঢাকা ও কলকাতায়।
আবাহনীর পর্তুগিজ কোচ মারিও লেমস ও অধিনায়ক নাবিব নেওয়াজ জীবন মনে করছেন মোহনবাগানকে হারানো কঠিন কিছু না। ‘আমাদের ভালো প্রস্তুতি আছে। দলের অবস্থাও ভালো। সব মিলিয়ে আমার মোহনবাগানকে হারাতেই কলকাতা যাচিছ।’
আবাহনী কলকতা যাচ্ছে দুইদিন পর শনিবার সকালে। বৃহস্পতিবার আবাহনী ফুটবল দলের ম্যানেজার সত্যজিৎ দাশ রুপু জাগো নিউজকে জানিয়েছেন, ‘আমরা ২৩ জন ফুটবলার নিয়ে কলকাতা যাচ্ছি। এর মধ্যে ৫ জন বিদেশি। তবে বিদেশি খেলতে পারবেন ৪ জন। আমাদের নতুন সংগ্রহ বসনিয়া অ্যান্ড হার্জেগভনিয়ার ফরোয়ার্ড নিডো তুর্কভিচের পায়ে একটু ব্যথা আছে। সে খেলতে পারবেন কি না কলকাতা যাওয়ার পর বোঝা যাবে।’
আরআই/এসএএস/জিকেএস