সাইফের পয়েন্ট কেড়ে নিলেন এক নাইজেরিয়ান
মুন্সিগঞ্জের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে যেন প্রতিপক্ষ ছিলেন পিটার থ্যাঙ্কগড নামের এক নাইজেরিয়ান। সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব গোল দিয়ে এগিয়ে যান এবং চট্টগ্রাম আবাহনীর থ্যাঙ্কগড সমতা ফিরিয়ে আনেন।
এক এক করে তিনবার ম্যাচে এগিয়ে গিয়েছিল সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব, তিনবারই ম্যাচে সমতা ফিরিয়ে এনেছেন চট্টগ্রাম আবাহনীর থ্যাঙ্কগড। ইনজুরি সময়ে তৃতীয় গোল করে নিজে যেমন হ্যাটট্রিক করেন, তেমন দলকে বাঁচিয়ে দেন হার থেকেও।
শূন্যহাতে ফিরতে যাওয়া চট্টগ্রাম আবাহনীকে নাটকীয়ভাবে এক পয়েন্ট এনে দেন ওই নাইজেরিয়ান। এমন পারফরমেন্সের পর চট্টগ্রাম আবাহনীর পক্ষ থেকে থ্যাঙ্কস পেতেই পারেন থ্যাঙ্কগড।
আগের ম্যাচে মোহামেডানের কাছে হেরেছিল সাইফ। পয়েন্ট টেবিলে একটা ভালো অবস্থানে উঠতে তাদের দরকার ছিল জয়। তিন তিনবার এগিয়ে গিয়ে জয়ের সম্ভাবনা তৈরিও করেছিল আন্দ্রেস ক্রুসিয়ানির দল।
কিন্তু সাইফের ডিফেন্স বারবার ভেঙ্গে গেছে মারুফুল হকের সেরা অস্ত্র পিটার থ্যাঙ্কগডের সামনে। তিনবার এগিয়ে গিয়েও তৃতীয় জয়টি তুলে নিতে পারেনি জামাল ভূঁইয়ারা। ৩-৩ গোলে ড্র করে আরো দুটি মূল্যবান পয়েন্ট হারালো তারা।
৫ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে আসরর গফুরভের লম্বা ক্রস বক্সে পেয়ে সাজ্জাদ হোসেন বাঁ-পায়ের প্লেসিং শটে দারুণ গোল করেন। সাইফ এসসি এগিয়ে গেল ১-০ ব্যবধানে।
প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে পেনাল্টি পায় চট্টগ্রাম আবাহনী। বক্সে এমেরি বাইসেঙ্গের হাতে বল লাগলে পেনাল্টি নির্দেশ দেন রেফারি। পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান চট্টগ্রাম আবাহনীর নাইজেরিয়ান খেলোয়াড় থ্যাঙ্কগড (১-১)।
৫৮ মিনিটে পেনাল্টি পায় সাইফ এসসি। বক্সে গফুরভকে ফেলে দেন চট্টগ্রাম আবাহনীর নাইজেরিয়ান ডিফেন্ডার কেহিন্দে ইশা। পেনাল্টি থেকে গোল করে সাইফ এসসিকে এগিয়ে নেন এমেকা ওগবাগ (২-১)। ৬৭ মিনিটে সমতায় ফেরে চট্টগ্রাম আবাহনী। মনির আলমের থ্রু পাসে প্রেসিং শটে দারুণ গোল থ্যাঙ্কগডের (২-২)।
৭৯ মিনিটে বক্সে ভেতর কৌশিক বড়ুয়ার হাতে বল লাগলে সাইফ এসসির পক্ষে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। পেনাল্টি থেকে গোল করেন এমেকা ওগবাগ (৩-২)।
ম্যাচের একেবারে অন্তিম মুহূর্তে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান চট্টগ্রাম আবাহনীর থ্যাঙ্কগড (৩-৩)। হেডে গোলটি করেন তিনি। এই গোলে হ্যাটট্রিকও পূর্ণ হয় চট্টগ্রাম আবাহনীর নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড থ্যাঙ্কগডের।
আরআই/আইএইচএস/