ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

ব্রাদার্সের অবনমনে কান্নায় ভেঙে পড়লেন বাবলু

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশিত: ০৯:২৪ পিএম, ১৭ আগস্ট ২০২১

দ্বিতীয় বিভাগ থেকে প্রথম বিভাগে উঠেই লিগের প্রথম ম্যাচে আবাহনীকে ১-০ গোলে হারিয়ে বড় অঘটনের জন্ম দিয়েছিল ব্রাদার্স ইউনিয়ন। ১৯৭৫ সালে লিগের প্রথম ম্যাচে আবাহনীকে হারানোর আগে প্রস্তুতি ম্যাচে মোহামেডানকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল কমলা জার্সিধারীরা।

দীর্ঘ ৪৬ বছর ঘরোয়া ফুটবলের শীর্ষ আসরে খেলার পর আবার দ্বিতীয় বিভাগে নেমে গেল গোপীবাগের দলটি। যারা প্রথম বিভাগেই উঠেই আত্মপ্রকাশ করেছিল ঘরোয়া ফুটবলের তৃতীয় পরাশক্তি হিসেবে।

হাসানুজ্জামান খান বাবলু, ফুটবল অঙ্গনে যার পরিচিতি ব্রাদার্সের বাবুল হিসেবে। মঙ্গলবার তিনি সোনালি অতীত ক্লাবে বসে টিভিতে দেখলেন কীভাবে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রের কাছে চার গোল খেয়ে প্রিমিয়ার থেকে নেমে গেল তার ক্লাবটি।

প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন বাবলু। শুরুতেই বললেন, আগে মরে যাওয়াই ভালো ছিল। তাহলে ব্রাদার্সের এই দিনটি দেখতে হতো না। স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বাবলু বলেন, ‘১৯৭৫ সালে লিগের প্রথম ম্যাচে ১-০ গোলে হারিয়েছিলাম আবাহনীকে। গোল করেছিলেন টুটু। তার আগে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামেই প্রস্তুতি ম্যাচে মোহামেডানকে উড়িয়ে দিয়েছিলাম ৩-০ গোলে। মহসিন দুটি গোল করেছিলেন, আমি একটি। তখন থেকেই ব্রাদার্স ঘরোয়া ফুটবলে তৃতীয় শক্তি। গত ১০ বছর ধরেই ব্রাদার্সের অবস্থা ভালো না। মাঝেমধ্যেই লিগ থেকে নেমে যায় নেমে যায় অবস্থা ছিল। কিন্তু এবার আর টিকলোই না।’

আজ এমন খবরের পর কথা বলতে গিয়ে মাঝেমধ্যেই কণ্ঠ থেমে গেছে হাসানুজ্জামান খান বাবলু, ‘অনেকে মোহামেডান-আবাহনীতে খেলে তারকা হয়েছেন। আমি, শহিদ উদ্দিন সেলিম ভাই, ওয়াসিম ও মহসিন তারকা হয়েছি ব্রাদার্সে খেলে। এই ক্লাবের জন্য মহল্লার বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে টাকা সংগ্রহ করেছি। জেল খেটেছি। আজ সেই ক্লাব চোখের সামনে নেমে গেল। গফুর বেলুচ বেঁচে থাকলে এটা সহ্য করতে পারতেন না। আমিও পারছি না। যখন ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজলো, তখন মনে হলো মাটির নিচে ঢুকে যাই।’

জীবনের বড় অহংকার শেষ হয়ে গেলো উল্লেখ করে বাবলু বলেন, ‘আমাদের বড় অহংকার ছিল ব্রাদার্স। সেই অহংকার আজ চুরমার হয়ে গেল। আশরাফ উদ্দিন আহমেদ চুন্নু আর আমি একসঙ্গে টিভিতে খেলা দেখেছি। সবাই যখন বলছিলেন এই তো ব্রাদার্সের বাবুল তখন মনে হয়েছিল কেন বেঁচে আছি। এই ব্রাদার্সকে দেখতে? বাফুফের নির্বাহী কমিটিতে ব্রাদার্সের তিনজন কর্মকর্তা। অথচ তারা দলকে রক্ষা করতে পারলো না। জানি না সেলিম ভাই জানার পর তার মনের কী অবস্থা হবে। ব্রাদার্সের পুনর্জন্মের নায়ক সেলিম ভাই অসুস্থ।’

আরআই/এসএএস/এমকেএইচ