ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

মেসির নামে ছাপানো এতগুলো জার্সি কী করবে বার্সেলোনা!

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৯:২৭ পিএম, ১২ আগস্ট ২০২১

লিওনেল মেসি থাকবেন, এটা ধরে নিয়েছিল প্রায় সবাই। যে কারণে আগামী মৌসুমের জন্য মেসির নাম এবং নাম্বার অঙ্কিত জার্সি দুই মাস আগে থেকেই বিক্রি শুরু করে দিয়েছিল বার্সেলোনা। মেসিকে নিয়ে চলা টানা টানাপোড়েনের কারণে এবার সমর্থকদের আগ্রহটাও ছিল কেন যেন বেশি।

কিন্তু শেষ মুহূর্তে সব বদলে গেলো। এক সপ্তাহের ব্যবধানে মেসি এখন বার্সার নয় আর, পিএসজির ফুটবলার। বার্সা ছেড়ে দিয়েছে তাকে। অর্থ্যাৎ নানা কারণে ধরে রাখতে পারেনি। এমন পরিস্থিতিতে মেসির নামে বিক্রি হওয়া জার্সি এবং যে সব জার্সি বিক্রি হয়নি, তবে মেসির নাম এবং নাম্বার দিয়ে জার্সি ছাপিয়ে এরই মধ্যে নানা স্টোরে শোভা পাচ্ছে- সেগুলোর কী হবে?

বার্সেলোনার জার্সি তৈরিকারী প্রতিষ্ঠান হচ্ছে বিখ্যাত ক্রীড়া সামগ্রী নির্মাতা প্রতিষ্ঠান নাইকি। তারাই এখন এ নিয়ে চিন্তা করছে, এই জার্সিগুলো কী করা হবে? তবে, এটা সিদ্ধান্ত পাকাপাকি হয়ে গেছে যে, মেসির নাম ও নাম্বার সম্বলিত যে সব জার্সি এরই মধ্যে বিক্রি হয়ে গেছে, সেগুলো ফেরত নেয়া হবে।

বার্সেলোনা প্রায় ২ মাস সময় হাতে পাচ্ছে বিক্রি হওয়া জার্সিগুলো ফেরত নেয়ার জন্য। এরপর সেগুলো বার্সা ফেরত পাঠাবে নাইকির হেডকোয়ার্টারে। তবে, এটা সাধারণ নিয়ম যে, যদি কোনো ফুটবলার ক্লাব ছেড়ে যান, তাহলে তখন তার নামাঙ্কিত এবং নাম্বার অঙ্কিত জার্সিগুলো সেই ফুটবলার ক্লাব ছাড়ার আগেই ফেরত নেবে। যেটা ঘটেছিল ২০১৭ সালে নেইমারের ক্ষেত্রেও। কিন্তু মেসির ক্ষেত্রে সেটা মোটেও সম্ভব ছিল না। কারণ, যা ঘটছে, তার সবই ঘটেছে হুট করেই।

জানা গেছে, এরই মধ্যে মেসির নামে ছাপা হওয়া জার্সি যেগুলো বিক্রি করা হয়েছে তার মধ্যে প্রায় ৮০ ভাগ ফেরত নেয়া হয়ে গেছে। আরেকটা বিষয় হচ্ছে, মেসির নামে যে জার্সি বিক্রি হতো, তাতে প্রতি মৌসুমে বার্সার আয় হতো ২০ থেকে ৩০ মিলিয়ন ইউরো। যেটা থেকে এবার বঞ্চিত হবে তারা।

তবে বার্সেলোনার জেনারেল ডিরেক্টর অব ডায়াগোনাল ইনভার্সনস মার্ক সিরিয়া জানান, তারা আশা করছে, মেমপিস ডিপে’র নামে যে জার্সি বিক্রি হবে তা থেকেই আমরা এই ক্ষতি অনেকটা কাভার দিতে পারবো। তিনি বলেন, ‘মেমপিস ডিপের নামে যে সব জার্সি ছাপানো হয়েছে তার ১০টির মধ্যে ৫টি বিক্রি হয়ে গেছে। যে কারণে আমরা মেসির জার্সির বিনিময়ে প্রাপ্ত অর্থের প্রায় ৩০ ভাগ ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবো।’

আইএইচএস/এএসএম