আগ্রহ দেখিয়েও সরে দাঁড়াল ভারত, সাফের স্বাগতিক কারা?
বাংলাদেশ আয়োজক হবে না বলে জানিয়ে দেয়ার পর ভারত, নেপাল ও মালদ্বীপ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ তাদের দেশে করতে চেয়েছিল। ২৩ জুলাই সাউথ এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশন (সাফ) সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে যে ভার্চুয়াল সভা করেছিল সেখানে তিন দেশই জোরালো দাবি তুলেছিল সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের আয়োজক হতে।
আয়োজক হতে আগ্রহ প্রকাশ করা তিন দেশকে খরচের একটা ধারণা দিয়ে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে তাদের প্রস্তাবনা পাঠাতে বলেছিল সাফ। যে প্রস্তাবনা নিয়ে আগস্টের প্রথম সপ্তাহে নির্বাহী কমিটি সভা করে আয়োজক দেশের নাম চূড়ান্ত করার ঘোষণা দিয়েছিল সাফ।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নেপাল ও মালদ্বীপ আয়োজক হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে প্রস্তাবান জমা দিলেও ভারত তা দেয়নি। যার মানে দাঁড়ায় এখন মালদ্বীপ বা নেপালের যে কোন এক দেশে হবে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ।
‘ভারতের সঙ্গে আমি কথা বলেছি। তারা এত অল্প সময়ের মধ্যে স্পন্সর সংগ্রহ করতে পারবে না বলে জানিয়েছে। তাই এখন মালদ্বীপ বা নেপালের যে কোন এক দেশে হবে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ’- বলেছেন সাফের সেক্রেটারি আনোয়ারুল হক হেলাল।
প্রাথমিকভাবে আগস্টের ৩০ তারিখ থেকে সিলেটে হওয়ার কথা ছিল সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ আয়োজক হওয়া থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছে। সাফ এর সদস্য দেশগুলোর সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল মিটিং করে সাউথ এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশন অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে টুর্নামেন্ট আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
টুর্নামেন্ট পেছালেও এতে অংশ নিতে পারবে না ভুটান। তারা আগেই জানিয়ে রেখেছে, ২০২১ সালে সাফ হলে তারা অংশ নেবে না। কারণ, ভুটান সরকার তাদের দলকে করোনার মধ্যে কোথাও যাওয়ার অনুমতি দেবে না। তাই অক্টোবরে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, শ্রীলংকা, মালদ্বীপকে নিয়ে হবে টুর্নামেন্ট। লিগ ভিত্তিকে খেলা শেষে শীর্ষ দুই দলের মধ্যে হবে ফাইনাল।
কবে হতে পারে সাফ এর সভা? আনোয়ারুল হক হেলাল বলেছেন, ‘সভাপতি (কাজী মো. সালাউদ্দিন) যেদিন সময় দেবেন সেদিন সভা করব। তবে ৫ আগস্টের পরই হবে সভা। এর মধ্যে দুই দেশের প্রস্তাবনা আমরা যাচাই-বাছাই করে দেখবো। তারপর নির্বাহী কমিটির সভায় আয়োজক দেশ ও তারিখ চূড়ান্ত করা হবে।’
আরআই/এসএএস/জিকেএস