হেরেও রোনালদোর রেকর্ডে ভাগ বসালেন মোরাতা
অনেকটা ধারার বিপরীতেই গোল হজম করেছিল স্পেন। এরপর আবার আলভারো মোরাতার গোলে সমতায়ও ফিরে আসে স্প্যানিশরা। কিন্তু ১২০ মিনিটের লড়াই অমিমাংসিত থেকে যাওয়ার পর টাইব্রেকারে স্বপ্নভঙ্গ হয় স্পেনের। ৪-২ ব্যবধানে জিতে ইউরোর ফাইনালে উঠে যায় ইতালি।
যে মোরাতার গোলে সমতায় ফেরে স্পেন, সেই মোরাতাই টাইব্রেকারে গোল মিস করলেন। ফুটবল এক চরম অনিশ্চয়তার খেলা। ইউরোর প্রথম সেমিফাইনালের রাতে তার উদাহরণও হাতে নাতে মিলল। কেন্দ্রবিন্দুতে স্প্যানিশ স্ট্রাইকার আলভারো মোরাতা।
৮০ মিনিটের মাথায় গোল করে দলকে সমতায় ফেরালেও, পেনাল্টি শ্যুট আউটে শট মিস করে তিনিই ফের ‘ভিলেন’। তবে এই ম্যাচেই ব্যক্তিগত এক নজির গড়ে ফেললেন তিনি।
সেমিফাইনালে ইতালির বিরুদ্ধে স্পেন দলের প্রথম একাদশে তাকে রাখেননি কোচ লুইস এনরিকে। তবে পরিবর্তিত হিসাবে মাঠে নেমে ৮০ মিনিটের মাথায় দলের হয়ে দানি ওলমোর ঠিকানা লেখা পাস থেকে গোল করে দলের হয়ে সমতা ফেরান মোরাতা।
এই গোলের সঙ্গে সঙ্গেই জাতীয় দলের জার্সি গায়ে ফার্নান্দো তোরেসকে (৫) পিছনে ফেলে স্প্যানিশ দলের হয়ে ইউরোয় সর্বোচ্চ গোল (৬) করার নজির গড়ে ফেললেন তিনি।
প্রসঙ্গতঃ প্রথম স্প্যানিশ ফুটবলার হিসাবে ওয়েম্বলিতে ক্লাব ও জাতীয় দলের হয়ে গোল করার কৃতিত্ব অর্জন করেন স্পেনের এই সাত নম্বর জার্সিধারী। পাশাপাশি ইউরোয় নিজের ষষ্ঠ গোলটি করে ক্লাব সতীর্থ ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোরও কৃতিত্বে ভাগ বসালেন তিনি। রোনালদোর পরে ২৮ বছর বয়সী স্ট্রাইকারই দ্বিতীয় ফুটবলার হিসেবে, দুটি ভিন্ন ইউরো টুর্নামেন্টে তিন বা ততোধিক গোল করার নজির গড়লেন।
এর আগে ক্রোয়েশিয়া এবং পোল্যান্ডের বিপক্ষে এই ইউরোয় বল জালে জড়াতে সক্ষম হয়েছিলেন তিনি। যদিও রোনালদোর দখলে এই টুর্নামেন্ট মিলিয়ে মোট তিনটি পৃথক ইউরোয় তিন বা তার বেশি গোল করার কৃতিত্ব রয়েছে। তবে শেষমেশ কাজে আসল না মোরাতার গোল। পেনাল্টিতে হেরে ইউরো থেকে বিদায় নিতে হল লা রোজাদের।
আইএইচএস/