উদ্বোধনের অপেক্ষায় বাফুফের কোটি টাকার জিমনেশিয়াম
যুগ যুগ ধরে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে (বাফুফে) দুটি সমালোচনা বেশি শুনতে হয়েছে। একটি একাডেমি, অন্যটি জিমনেশিয়াম নিয়ে। একাডেমি নেই, জিমনেশিয়াম নেই- এ সমালোচনাগুলো শোনার সময় শেষ হচ্ছে দেশের ফুটবলের অভিভাবক প্রতিষ্ঠানটির।
দীর্ঘ প্রতিক্ষিত জিমনেশিয়াম তৈরি শেষ। এখন অপেক্ষা উদ্বোধনের। সিলেট বিকেএসপি, রাজধানীর বেরাইদের ফর্টিস গ্রুপের মাঠ হয়ে একাডেমির স্থায়ী ঠিকানা হতে যাচ্ছে কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে।
বাফুফের সর্বশেষ নির্বাচনে কাজী মো. সালাউদ্দিনের প্রতিশ্রুতিগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল একটি অত্যাধুনিক জিমনেশিয়াম তৈরি করা। চতুর্থবারের মতো সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার দুই মাসের মধ্যেই জিম তৈরির কাজে হাত দেন বাফুফে বিগ বস।
দীর্ঘ প্রতিক্ষিত এই জিমনেশিয়াম তৈরিতে তিনি কাছে পান প্রথমবারের মতো বাফুফের সহসভাপতি নির্বাচিত হওয়া তমা গ্রুপের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিককে।
১৪/বি মতিঝিলে বাফুফে ভবনের সামনের খোলা জায়গার পূর্বপাশে আর্টিফিশিয়াল টার্ফের মাঠ ঘেঁষে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে এই জিমনেশিয়ামটি। বাফুফে সভাপতির প্রতিশ্রুতি ছিল মার্চের মধ্যে জিমনেশিয়াম তৈরি করার। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তৈরি করলেও করোনা ও লকডাউনের কারণে বিলম্ব হচ্ছে উদ্বোধনের।
কবে হতে পারে উদ্বোধন? ‘জিমনেশিয়ামের সব কাজ শেষ। যন্ত্রপাতিও এসে গেছে। ওগুলো ফিটিং করতে একদিন লাগবে। লকডাউন শেষ হওয়ার পরই উদ্বোধন করা হবে’- বলছিলেন বাফুফের সাধারণ সম্পাদক মো. আবু নাইম সোহাগ।
বাফুফের এই জিমনেশিয়াম তৈরিতে খরচ হচ্ছে প্রায় কোটি টাকা। পুরো টাকাই দিয়েছে তমা গ্রুপ। যে কারণে এই জিমন্যাশিয়ামের নামকরণ করা হয়েছে ‘বাফুফে-তমা এলিট ট্রেনিং সেন্টার।’
একটি আধুনিক জিমনেশিয়ামের সব সুযোগ-সুবিধা রেখেই বাফুফে তৈরি করেছে এই ট্রেনিং সেন্টারটি। বাফুফের চাহিদামতো কন্সট্রাকশন কাজ করেছে তমা গ্রুপ। আর যন্ত্রপাতি ক্রয় করেছে বাফুফে কোটেশনের মাধ্যমে।
দীর্ঘ প্রতিক্ষিত জিমনেশিয়াম ফুটবল অঙ্গনে। তাইতো এর উদ্বোধনটা জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে করার পরিকল্পনার কথা জানালেন বাফুফের সাধারণ সম্পাদক, ‘আমরা জাকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জিমনেশিয়াম উদ্বোধন করবো বলেই লকডাউন শেষ হওয়ার অপেক্ষায় আছি। আমরা মন্ত্রী, মেয়র, ক্লাব কর্মকর্তা, সাবেক-বর্তমান তারকা খেলোয়াড়দের জিমনেশিয়াম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ করবো। লকডাউন উঠে যাওয়ার পর বেশি সময় নেবো না।’
কারা ব্যবহার করবেন এই জিমনেশিয়াম? বাফুফে ফুটবল অঙ্গনের সবাইকে জিম ব্যবহারের সুযোগ দেবে। তবে অগ্রাধিকার পাবে জাতীয় দলের ফুটবলাররা। বাকিদের কিভাবে ব্যবহারের সুযোগ দেয়া যায় তা সমন্বয় করতে বাফুফে একটি নীতিমালা তৈরি করবে বলে জানিয়েছেন সাধারণ সম্পাদক। কারণ, এই জিম একসঙ্গে সর্বোচ্চ ৩০ জন ব্যবহার করতে পারবেন।
আরআই/আইএইচএস/