ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

মেসিকে বার্সায় রাখতে যা সম্ভব করতে হবে : ইতো

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৬:২১ পিএম, ১৮ আগস্ট ২০২০

বার্সেলোনা ছেড়ে লিওনেল মেসি চলে যাচ্ছেন...গত দেড় দশকে এমন খবর এসেছে অনেকবারই। তবে ভক্ত-সমর্থকদের কাছে কখনই বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়নি খবরটা। মেসি ছাড়া বার্সা? এও কী সম্ভব!

তবে অতীতে গুঞ্জন শোনা গেলেও সেটা ডালপালা মেলার আগেই উড়ে গেছে। এবারের প্রেক্ষাপটটা ভিন্ন। মেসি বার্সা ছেড়ে যেতে পারেন, এটাকে এখন আর অবিশ্বাস্য খবর মনে হয় না। বার্সার সুখের ঘরে সেই সুখ যে আর নেই!

হিসেব নিকেশ না করেই দলবদল, আর্থিক অনিয়ম, ক্লাবের তারকাদের পর্যাপ্ত সম্মান না দেওয়া, মাঠ ও মাঠের বাইরে প্রশ্নের জন্ম দেয়া নানা সিদ্ধান্ত-বার্সা ম্যানেজম্যান্টের সঙ্গে মেসির দূরত্বটা ধীরে ধীরে বাড়িয়ে তুলেছে।

এতদিন তবু ভেতরে ছিল বিষয়গুলো। এবার মাঠেও তার প্রভাব দেখা যাচ্ছে। চ্যাম্পিয়নস লিগে ৮ গোল হজম করে বার্সেলোনা ছিটকে পড়ার পর মেসির ভবিষ্যত নিয়ে নতুন করে কানাঘুষা শুরু হয়েছে। বার্সা সুপারস্টারের ক্যারিয়ারে যে এমন সময় আর আসেনি!

যে ক্লাব তাকে নতুন জীবন দিয়েছে, সেই ক্লাবের জন্য বলতে গেলে নিজের জীবনটাকেই উৎসর্গ করে দিয়েছেন মেসি। কিন্তু ক্যারিয়ারে সায়াহ্নে এসে পরিস্থিতি অন্যদিকে।

মেসি বার্সা ছাড়তে পারেন, এই গুঞ্জনটা ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি জোরালো অবস্থানে এখন। এত এত ঘটনা আর ব্যর্থতার পর মন প্রাণ দিয়ে বার্সার জন্য লড়ার মতো মানসিকতা এখন হয়তো মেসিরও নেই। তিনিও যে অন্য কিছু ভাবছেন না, সেই গ্যারান্টিই কে দেবে?

তবে একটা সময় মেসির সঙ্গে বার্সেলোনায় খেলা (২০০৪ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত) ক্যামেরুন স্ট্রাইকার স্যামুয়েল ইতো এসব কিছুই শুনতে রাজি নন। আর্জেন্টাইন খুদেরাজ থাকবেন না বার্সায়? যদি এমন কিছু হয়েই যায়, বার্সেলোনার নামটাই বদলে ফেলা উচিত, মনে করেন ইতো।

আর্জেন্টিনার টিভি চ্যানেল টিসিস্পোর্টসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ইতো বলেন, ‘আমি মেসিকে আমার ছেলের মতো ভালোবাসি। আমি সবসময় তার ভালো চাই। বার্সেলোনাই তো এখন মেসি। যদি মেসি এই ক্লাব ছেড়ে দেয়, তবে আমাদের ক্লাবের নামটাই বদলে দিতে হবে।’

যা কিছুই হোক, মেসিকে বার্সেলোনায় রাখতেই হবে, বিকল্প দেখেন না ইতো। ক্যামেরুনের সাবেক এই ফুটবলারের ভাষায়, ‘আমরা সৌভাগ্যবান যে বিশ্বের এবং সর্বকালের সেরা খেলোয়াড় আমাদের দলে পেয়েছি। সে যেন বার্সেলোনাতেই ক্যারিয়ারটা শেষ করতে পারে, সেজন্য যা কিছু দরকার করতে হবে আমাদের।’

এমএমআর/এমকেএইচ