হাতছাড়া লিগ শিরোপা, ইউসিএলেও আশা দেখেন না মেসি
চলতি বছরের শুরু থেকেই শোনা যাচ্ছিল বার্সেলোনায় দলীয় কোন্দলের কথা। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছিল যে, ক্লাবই ছেড়ে দেন সবচেয়ে বড় তারকা লিওনেল মেসি। সেই অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে মাঠের পারফরম্যান্স উন্নতির দিকেই যাচ্ছিল বার্সেলোনার। তখনই আসে করোনাভাইরাসের লকডাউন।
অনাকাঙ্ক্ষিত এ বিরতির আগেও স্প্যানিশ লা লিগার পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে ছিল বার্সেলোনা। চির প্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনার চেয়ে এগিয়ে ছিল দুই পয়েন্টে। কিন্তু বিরতির পর মাঠে ফিরে চার ম্যাচের মধ্যে তিনটি ড্র করে রিয়ালের চেয়ে চার পয়েন্ট পিছিয়ে পড়ে তারা। সবশেষ বৃহস্পতিবার রাতে শিরোপাই জিতে নিয়েছে রিয়াল।
লা লিগার এমন সমাপ্তিতে হতাশ মেসি। রিয়ালের শিরোপা নিশ্চিত হওয়ার দিন তার দল ওসাসুনার কাছে হেরে গেছে ১-২ ব্যবধানে, তাও কি না ঘরের মাঠে। মেসির কাছে, ওসাসুনার বিপক্ষে ম্যাচটিই বার্সেলোনার পুরো মৌসুমের সারাংশ। ম্যাচ শেষে সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেছেন মেসি।
তিনি বলেন, ‘আমরা এমনভাবে মৌসুমটা শেষ করতে চাইনি। তবে এর মাধ্যমেই বোঝা যায় যে মৌসুমটা কেমন গেছে। আমরা খুবই অগোছালো, দুর্বল এবং নরম ভিতের দল ছিলাম। আমরা অনেক পয়েন্ট হারিয়েছি এবং আজকের ম্যাচটি (ওসাসুনার কাছে হার) পুরো মৌসুমের সারাংশ ছিলো।’
লিগ শিরোপা খোয়ানোর হতাশা থাকলেও, মেসি এখন ভাবছেন উয়েফা চ্যাম্পিয়ন লিগ (ইউসিএল) জয়ের ব্যাপারে। আগামী ৮ আগস্ট নাপোলির বিপক্ষে শেষ ষোলোর ম্যাচে লড়বে বার্সেলোনা। সেই ম্যাচে ন্যুনতম ড্র করতে পারলেই মিলবে কোয়ার্টারের টিকিট।
কিন্তু এমন খেলা চলত থাকলে সেই ড্রয়ের আশাও দেখেন না মেসি, ‘আমরা যদি চ্যাম্পিয়নস লিগ জিততে চাই, তাহলে অনেক কিছু বদলাতে হবে। আমাদের এমন খেলা যদি চলমান থাকে, তাহলে নিশ্চিতভাবেই নাপোলির বিপক্ষে (শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগ) ম্যাচটি হেরে যাব।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমাদের অনেক কিছুই বদলাতে হবে। আমাদের এখন নাপোলির বিপক্ষে ম্যাচ সামনে (৮ আগস্ট) এবং অনেক কাজ করতে হবে। আমি মনে করি, সামনে একটা বিরতি আছে, এতে করে হয়তো মাথা থেকে নেতিবাচক চিন্তাগুলো দূর হবে।’
‘গত জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত আমাদের সবার জন্য ভয়াবহ সময় ছিল। আমি মনে করি, চ্যাম্পিয়নস লিগের চার ম্যাচই এখন পুরো মৌসুমের চিত্রটা বদলে দিতে পারে। যদি আমরা যথাযথ ফলটা আনতে পারি।’
এসময় সমালোচনাকে স্বাভাবিক হিসেবেই দেখার কথা বলেছেন মেসি, ‘ক্লাবের সঙ্গে যারা আছে, তারা অবশ্যই এমন পারফরম্যান্সে রাগান্বিত হবে। বিশেষ করে যেভাবে মৌসুমটা কাটল। খেলোয়াড়রাও এমনটাই ভাবে যে এখন সমালোচনা হওয়াটাই স্বাভাবিক। (উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগে) রোমা এবং লিভারপুলের কাছে হারের পর যখন শিরোপা জিততে না পারেন, তখন সবাই অখুশি থাকাই স্বাভাবিক।’
এসএএস/এমএস