করোনা এক বছর পিছিয়ে দিল আরও একটি টুর্নামেন্ট
করোনাভাইরাসের কারণে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল সব ধরনের খেলাধুলা। ফুটবল-ক্রিকেটসহ সব খেলাই অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হয়ে যায়। যদিও ইউরোপে দর্শকহীন স্টেডিয়ামে ফিরেছে ফুটবল। ক্রিকেটও ফেরার অপেক্ষায়। তবে করোনা সংক্রমণের কারণে এক বছর পিছিয়ে দেয়া হয়েছে টোকিও অলিম্পিক। উয়েফা ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ এবং কোপা আমেরিকা ফুটবল টুর্নামেন্টও এক বছর পিছিয়ে দেয়া হয়েছে।
এবার করোনাভাইরাসের জেরে এক বছর পিছিয়ে গেলো আরও একটি মহাদেশীয় ফুটবল টুর্নামেন্ট। আফ্রিকান কাপ অব নেশন্স কর্তৃপক্ষ এতদিন অপেক্ষায় ছিল, পরিস্থিতির উন্নতি হয় কি না তা দেখার জন্য। কারণ, টুর্নামেন্টটির নির্ধারিত সময় জানুয়ারি মাস; কিন্তু পরিস্থিতির উন্নতির তো কোনো সম্ভাবনাই নেই। যার ফলে ২০২১-এর পরিবর্তে এই টুর্নামেন্টটি অনুষ্ঠিত হবে ২০২২ সালের জানুয়ারিতে। মঙ্গলবার কনফেডারেশন অফ আফ্রিকান ফুটবল (সিএএফ) এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ক্যামেরুন ছিল এবারের আয়োজক।
সিএএফ-এর সভাপতি আহমেদ আহমেদ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘স্বাস্থ্যই আমাদের প্রথম এবং প্রধান চিন্তার বিষয়। এ কারণে আমাদেরকে অবশ্যই সর্বদা সতর্ক থাকতে হবে। কোভিড-১৯ স্বাস্থ্য সঙ্কট মার্চ মাস থেকে প্রায় সব মহাদেশজুড়ে ফুটবলকে স্থগিত করেছে। আমরাও এ কারণে টুর্নামেন্টটি স্থগিত করলাম।’
নাইজেরিয়া কোচ গারনট রোহর বলেন, ‘আমি মনে করি, এই সিদ্ধান্তটা খুবই সময়োপযোগি হয়েছে। কারণ, সময়টা খুবই কম। আমরা সিদ্ধান্তটি ভালোভাবেই বুঝতে পেরেছি এবং প্রস্তুতির জন্য আরও ভালো সময় পাচ্ছি। এরই ফাঁকে আমাদের তরুণ তারকাদের আরও ভালোভাবে প্রস্তুত করে নেয়ার সুযোগ পাবো।’
আফ্রিকান নেশসন কাপ পূর্ব সূচি অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল ২০২১ সালের ৯ জানুয়ারি থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত; কিন্তু এক বছরের জন্য তা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ অর্থাৎ টুর্নামেন্টটি হবে ২০২২-এর জানুয়ারিতে। অর্থ্যাৎ, ২০২২ বিশ্বকাপ এবং আফ্রিকান কাপ অব নেশন্স অনুষ্ঠিত হবে একই বছর। ২০১০ বিশ্বকাপেও এমনটা ঘটেছিল।
আহমেদ বলেন, ‘করোনভাইরাস স্বাস্থ্যের পরিস্থিতি সম্পর্কে অনিশ্চয়তার কারণে এবং বিশেষত সময়সূচী সমস্যার কারণে চার দফার বাছাইপর্বের আন্তর্জাতিক ম্যাচের জন্য অক্টোবরের ও নভেম্বর উইন্ডোতে লাগানো দরকার বলে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।’
পুরুষদের টুর্নামেন্ট এক বছর পেছানো হলেও, নারীদের আফ্রিকান কাপ অব নেশন্স পুরোপুরি বাতিলই করে দেয়া হয়েছে।
আইএইচএস/