ময়মনসিংহে নারী ফুটবলারের ওপর প্রতিবেশীর হামলা
ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় গাছ কাটা নিয়ে দুই পক্ষের দ্বন্দ্বে অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেলেন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৫ নারী ফুটবল দলের গোলরক্ষক রুপা আক্তার। মঙ্গলবার (১৫ জুন) উপজেলার দক্ষিণ মাউজবাগ ইউনিয়নের রামসিংহপুর গ্রামে গাছ কাটা নিয়ে ঝগড়ার সময় দা’র কোপ থেকে অল্পের জন্য বেঁচে যান রুপা।
এ বিষয়ে রুপার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমাদের মাছের ফিশারির ওপর প্রতিবেশী দুলাল নায়েকের গাছ। গাছের পাতা পড়ে পুকুরে গ্যাস হয়ে মাছ মারা যায়। বিষয়টি দুলাল নায়েককে একাধিকবার জানানো হলেও তিনি গাছের কোন ডাল কাটেননি। সকালে দুলাল নায়েককে গাছের ডাল কাটার কথা বললে, তিনি বলেন তোমরা পারলে গাছ কেটে ফেল।’
‘এ কথা শুনে আমার ভাই দা নিয়ে গাছের ডাল কাটতে শুরু করে। পরে দুলাল নায়েকের ছেলে সজিব ও ভাই গোলাপ মিয়াসহ কয়েকজন দেশি অস্ত্র ও লাঠি নিয়ে আমার ভাইকে মারতে আসে। বাইরে ঝগড়া শুনে আমি বাড়ি থেকে বের হয়ে মোবাইল দিয়ে ভিডিও করার সময় সজিব দা দিয়ে আমাকে কোপ দিতে উদ্যত হয়। তখন আমার ভাই দা ধরে ফেলে। এতে অল্পের জন্য আমি রক্ষা পাই। এসময় সজিব আমার মোবাইল ফোন নিয়ে যায়।’
এ ঘটনায় কেউ কোন প্রকার আহত হয়নি বলেও জানান তিনি। থানায় কোন অভিযোগ করেছেন কি না জানতে চাইলে রুপা বলেন, ‘দুলাল নায়েকের ছেলে সজিব ও দুলাল নায়েকের ভাই গোলাপ মিয়াকে অভিযুক্ত করে ধোবাউড়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছি। অভিযোগ করার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বলেও জানান তিনি।’
দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামীগের সভাপতি ও মুক্তিযোদ্ধা দুলাল নায়েক বলেন, ‘রুপার বড় ভাই আমার অনুমতি ছাড়া আমার গাছের ডাল কাটলে আমার ছেলে ও ভাই ফেরাতে যায়। এ সময় রুপা মোবাইল দিয়ে ভিডিও করার আমার ছেলে সজিব বাধা দেয়। কিন্তু রুপাকে কোপ দিতে যায়নি বা রুপার মোবাইল ফোন নেয়নি।’
ধোবাউড়া থানার ওসি আলী আহমেদ মোল্লা এ বিষয়ে বলেন, ‘দুই পক্ষই অভিযোগ করেছে। অভিযোগের পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
এসএএস/পিআর