ফিটনেস ধরে রাখতে সাবিনাদের উঠান ব্যবহার করতে বললেন কোচ
বাফুফের ক্যাম্পে থাকা নারী ফুটবলারদের সর্বশেষ অনুশীলন হয়েছে ১৭ মার্চ। করোনাভাইরাসের কারণে এরপর থেকে সব বন্ধ। ছেলেদের লিগ বাতিল হয়েছে, মেয়েদের লিগও বন্ধ। বাফুফেও ক্লোজ করে দিয়েছে মেয়েদের আবাসিক ক্যাম্প। সাবিনা, কৃষ্ণা, মারিয়া, মৌসুমীরা ফিরে যান যে যার বাড়িতে।
ফলে নারী ফুটবলাররা বাড়িতে এখন অলস সময় কাটাচ্ছেন। অনুশীলনবিহীন থাকা মেয়েরা যাতে ফিটনেস পুরোপুরি হারিয়ে না ফেলে সে জন্য তাদের প্রধান কোচ এবং কোচিং স্টাফের অন্য সদস্যরা নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করছেন এবং ফিটনেস ধরে রাখার পদ্ধতি বাতলে দিচ্ছেন।
নারী ফুটবল দলের প্রধান কোচ গোলার রব্বানী ছোটন আজ (রোববার) এক ভিডিওবার্তায় মেয়েদের কিছু উপদেশ দিয়েছেন। ছোটন বলেছেন, ‘মেয়েদের আমি শেষ অনুশীলন করিয়েছি ১৭ মার্চ। এরপর সবাই বাড়ি চলে যায়। তবে আমরা নিয়মিত সবার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। তাদের ফিটনেস ধরে রাখতে নানা উপদেশ দিচ্ছি। ফিজিক্যালি তারা ক্যাম্পে নেই। তবে ভার্চুয়ালি আমরা যোগাযোগের মধ্যেই আছি।’
মাঠের অনুশীলন আর ঘরে বসে ব্যয়াম- এক কথা নয়। অতীতে দেখা গেছে মেয়েরা কয়েকদিন ছুটি কাটিয়ে বাড়ি থেকে ফিরলেই তাদের ফিটনেস লেভেল নেমে যেতো। সেটা উল্লেখ করে কোচ ছোটন বলেন, ‘বাড়িতে ১৫ দিন থাকলেই সবার ফিটনেস লেভেল কমে যায়। সেখানে তিন মাস হতে চললো মেয়েরা অনুশীলনে নেই। ফিটনেস তো অবশ্যই কমেছে তাদের; কিন্তু করোনাভাইরাস বিশ্বব্যাপী মহামারি। সবাই এ নিয়ে আতঙ্কে। আমরাও মানসিকভাবে আতঙ্কে আছি। তবে এর নেতিবাচক প্রভাব যাতে মেয়েদের মধ্যে না পড়ে সে জন্য তাদের প্রতিনিয়ত উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করছি।’
মেয়েদের যাদের বাড়িতে যতটুকু সুযোগ আছে শরীরচর্চার সেটুকু কাজে লাগানোর নির্দেশনা দিয়েছেন কোচ। ‘আমি সবাইকে বলছি, বাড়ির যে উঠান আছে সেখানে ওয়ার্মআপ করতে, রানিং করতে এবং ব্যয়াম করতে। তাতে ফিটনেস লেভেল একটু ভালো থাকবে। আশা করছি, এ সমস্যা কেটে যাবে। সেপ্টেম্বরের পর আবার মেয়েরা খেলায় ফিরতে পারবে। তারপর আমাদের অনূর্ধ্ব-১৫ ও অনূর্ধ্ব-১৮ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ আছে। যদিও সেটা নিশ্চিত নয় যে সিডিউল অনুযায়ী হবে। আমাদের মেয়েরা গত ২-৩ বছর মাঠে ভালো পারফরম্যান্স করেছে, ভালো অর্জনও আছে তাদের। আশা করছি, আগামীতেও তারা ভালো খেলবে’- বলেছেন গোলাম রব্বানী ছোটন।
আরআই/আইএইচএস/