করোনায় খাবারের অভাবে দেয়াল খুঁটে খেয়েছেন ইতালিয়ান তারকা
লকডাউনের কারণে বন্দী অবস্থায় থাকতে হয়েছে প্রায় মাসদুয়েক। পরিবার এক শহরে আর তিনি ঘরে বন্দী আরেক শহরে। রান্নাবান্না শেখেননি কখনও, বাইরে গিয়ে খাবার কেনারও সুযোগ ছিল না। ফলে ক্ষুধার জ্বালায় ঘরের দেয়াল খুঁটে খাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন ইতালির তারকা ফুটবলার মারিও বালোতেল্লি।
সাধারণত খ্যাপাটে চরিত্রের ফুটবলার হিসেবেই সবার কাছে পরিচিত ২৯ বছর বয়সী এ ফরোয়ার্ড। তবে করোনাভাইরাসের কারণে হওয়া লকডাউনে তিনিও পড়েছিলেন অসহায় অবস্থায়। যা রীতিমতো কার্ডবোর্ড, দেয়াল খাওয়ার অবস্থায় পৌঁছে দিয়েছিল তাকে।
সাবেক সতীর্থ অ্যালেজান্দ্রো মাত্রির সঙ্গে এক ফেসবুক লাইভে বালোতেল্লি বলেছেন, ‘গত কয়েক সপ্তাহে আমি পাগল হতে বসেছিলাম। কেননা আমি পুরোপুরি একা ছিলাম। আমার মেয়ে আছে ন্যাপলসে, ছেলে জুরিখে। আমার মায়ের বয়স হয়েছে তাই তার বাড়তি সুরক্ষা দরকার ছিল। আমার ভাইয়েরা তাদের বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে কোয়ারেন্টাইনে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ফলে আমাকে পুরো একা থাকতে হয়েছে। এটা খুবই কঠিন ছিল। যেহেতু আমি রান্না করতে পারি না, প্রথম তিনদিন ধরতে গেলে কার্ডবোর্ড খাচ্ছিলাম। চেষ্টা করছিলাম দেয়াল খুঁটে খাওয়ার। ভাগ্যিস পরে গিয়ে খাবার আনার ব্যবস্থা হয়েছে।’
আগামী ১৩ জুন থেকে শুরু হওয়ার কথা রয়েছে ইতালিয়ান সিরি আ। কিন্তু সেজন্য কোন প্রস্তুতিই নেই বালোতেল্লির। আগামী ১৮ মে থেকে নিজ দল ব্রেসিয়ার সঙ্গে অনুশীলন শুরু করতে যাচ্ছেন তিনি। এখন যদি কেউ বল পাস করে, সেটিও ধরতে পারবেন না বলে জানালেন এ ফরোয়ার্ড।
বালোতেল্লি বলেন, ‘তুমি এখন আমাকে বল পাস দিলে আমি প্রথমবারে ধরতে পারব না। দুই মাস হয়ে গেছে আমি বল ধরিনি। ঘরে রানিং মেশিন না থাকলে অনুশীলন করা কঠিন। যদিও এটা বেআইনি, তাও আমি কয়েকদিন পার্কে গিয়ে দৌড়ে এসেছি।’
করোনার প্রকোপ ইতালিতে বেশ ভালোভাবেই পড়েছে শুরুর দিকে। এখনও পর্যন্ত দেশটিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় সোয়া ২ লাখ মানুষ। মহামারী এ পরিস্থিতিতে প্রাণ হারিয়েছেন ৩১ হাজারের বেশি ইতালিয়ান।
এসএএস/জেআইএম