ফুটবলাররা এক বছরের বেতন না পেলে মরে যাবে না
করোনাভাইরাসের কারণে আর্থিক ক্ষতি পুষিয়ে নিতে খেলোয়াড়-স্টাফদের বেতন কাটার কথা চিন্তা করতে শুরু করেছে ইউরোপিয়ান ফুটবল ক্লাবগুলো। একই পথে হাঁটার কথা ভাবছে বিভিন্ন দেশের ক্রিকেট বোর্ডও।
এরই মধ্যে ইতালিয়ান ক্লাব জুভেন্টাস তাদের ক্লাবের সদস্যদের চার মাসের বেতন কেটে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনা কেটে রাখছে বেতনের ৭০ শতাংশ। এই সিদ্ধান্তগুলো যে খুব সহজেই মেনে নিয়েছে খেলোয়াড়-স্টাফরা এমনটা নয়। বরং দুই পক্ষের নানান আলোচনার পরই আসা গেছে সমাধানে।
তবে আর্জেন্টিনার তারকা ফুটবলার কার্লোস তেভেজ মনে করেন, এই সংকটময় সময়ে বেতন নিয়ে খুব বেশি ভাবা উচিৎ নয় ফুটবলারদের। কেননা, ইউরোপের ফুটবলাররা এক বছরের বেতন না নিলেও তাদের তেমন কোনো ক্ষতি হবে না। কিংবা বেঁচে থাকতেও সমস্যা হবে না।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও ম্যানচেস্টার সিটি- দুই রাইভাল ক্লাবেই খেলা এ ফুটবল বর্তমানে রয়েছেন নিজ দেশের ক্লাব বোকা জুনিয়র্সে। সরকারের আদেশ মেনে গত ১৭ মার্চ থেকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন তেভেজ। ঘরে বসেই যেকোন ধরনের সাহায্যের জন্য নিজেকে প্রস্তুত রেখেছেন তিনি।
আমেরিকা টিভিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তেভেজ বলেন, ‘আমাদের সবসময় সাহায্য করার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। অবশ্যই আমি যে কাউকে সাহায্য করতে অনেক খুশি হবো। ফুটবলার, অভিনয়শিল্পীরা এক্ষেত্রে অনেক বড় উদাহরণ তৈরি করতে পারে। যাদের সাহায্যের দরকার, তাদের পাশে দাঁড়ানোর মাধ্যমে।’
এসময় খেলোয়াড়দের বেতন কাটার বিষয়টি মনে করিয়ে তিনি বলেন, ‘যেকোন ফুটবলার ছয় মাস বা এক বছর বেতন না পেলেও বাঁচবে। আমার আসলে ভালো উদাহরণ নই। আমরা হয়তো অনেক কিছুই ভালো করি। কিন্তু এক্ষেত্রে নয়। আমাদের দিনের পর দিন কিছুর জন্য চিন্তা করতে হয় না।’
তিনি বলতে থাকেন, ‘পৃথিবীতে এমন অনেকেই আছে, যারা পরিবারের খাবারের ব্যবস্থা করতে প্রতিদিন সকাল ৬টায় বেরিয়ে সন্ধ্যায় ৭টায় বাড়ি ফেরে। আমাদের জন্য ঘরে বসে এগুলো বলা সহজ। কারণ আমরা জানি যে, ঘরে বাচ্চাদের জন্য খাবার আছে। কিন্তু অভাবী মানুষদের সেটি নেই। তারা ঘর থেকে বের হতে পারছে না, যে কারণে বাচ্চাদের খাবার দিতে পারছে না। এটা সত্যিই দুঃখজনক।’
এসময় ক্লাবগুলোকেও যথাযথ উদ্যোগ নেয়ার পরামর্শ দেন তেভেজ। তিনি বলেন, ‘এখানে ক্লাবগুলোও কিছু করতে পারে। সকালবেলা খেলোয়াড়দের অনুশীলনে না ডেকে, অসহায় মানুষদের পাশে ঝাপিয়ে পড়তে বলা উচিৎ। এভাবেই দৃষ্টান্ত তৈরি হয়।’
এসএএস/এমএস