অবশেষে রাজি বার্সার খেলোয়াড়রা, ঝামেলা নিয়ে মুখ খুললেন মেসি
করোনাভাইরাসের এই সংকটময় মুহূর্তে ইউরোপিয়ান ক্লাবগুলো খেলোয়াড়দের বেতন কেটে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কেননা ক্লাবগুলো বড় ধরনের ক্ষতির মুখে আছে।
সেটা মেনে নিয়ে বেতন ছেড়ে দিতে রাজি হয়েছেন জুভেন্টাস, বায়ার্ন মিউনিখ, বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের খেলোয়াড়রা। কিন্তু শুরুতে খেলোয়াড়দের রাজি করাতে পারেনি বার্সেলোনা।
বুধবার প্রথম খবর প্রকাশ হয়, অন্তত ৭০ ভাগ পর্যন্ত পারিশ্র্রমিক কেটে নেয়ার প্রস্তাব দিয়েছে বার্সার বোর্ড অব ডিরেক্টরস। কিন্তু খেলোয়াড়রা এটা কোনোভাবেই মেনে নিতে রাজি নন। তারা এ নিয়ে প্রতিবাদ করেন।
যদিও সভাপতি হোসে মারিয়া বার্তেম্যু ঘোষণা দেন, এ নিয়ে খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথা বলবেন এবং তাদেরকে বোঝাতে সক্ষম হবেন। অবশেষে দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতা হলো।
বার্সেলোনার অধিনায়ক লিওনেল মেসিই জানালেন, তারা ৭০ ভাগ বেতন ছেড়ে দিতে রাজি হয়েছেন। শুধু তাই নয়, ক্লাবের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীরা যেন পুরো বেতন পান, সেজন্য বাড়তি সাহায্যও করতে চান তারা।
কিন্তু এই ঘোষণা আসতে কেন এত বিলম্ব হলো? কেনই বা দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতা হয়নি শুরুতে? মেসি জানালেন, মূলত ক্লাবকে কিভাবে সাহায্য করা যাবে, সেই উপায় খুঁজতেই দেরি হয়েছে তাদের।
এক বিবৃতিতে মেসি বলেন, ‘সবার আগে একটা জিনিস পরিষ্কার করতে চাই। আমরা সবসময়ই আমাদের বেতন কমানোর বিষয়টি নিয়ে ভেবেছি। কারণ আমরা ভালো করেই বুঝি, এটা একটা অন্যরকম পরিস্থিতি। ক্লাব যখনই চাইবে, আমরা খেলোয়াড়রা সাহায্য করতে প্রস্তুত।’
মেসি যোগ করেন, ‘তবে আমরা এতে বিস্মিত নই যে ক্লাবে এমন লোকও আছেন, যারা আমাদের আতশি কাচের নিচে ফেলার চেষ্টা করেছেন, চেষ্টা করেছেন বাড়তি এমন চাপ তৈরি করতে, যেই কাজটা করতে হবে আমরা সবাই জানতামই।’
‘আমরা এতদিন পর্যন্ত কিছু বলিনি, কারণ আমাদের মূল অগ্রাধিকার ছিল ক্লাবকে সাহায্য করার উপায় খুঁজে বের করা। আমরা দেখতে চেয়েছিলাম, এই সময়টায় কারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ।’
‘আমাদের দিক থেকে সময় এসেছে বলার যে, এই সংকট চলাকালীন ৭০ ভাগ বেতন কেটে নেয়ার ব্যাপারে একমত হয়েছি। আমরা ক্লাবকে আরও সাহায্য করতে চাই, যাতে কর্মচারীদের পুরো ১০০ ভাগ বেতন দেওয়া যায়।’
বার্সেলোনার পরিচালনা পর্ষদ, পেশাদার স্পোর্টস টিমের সদস্যরা এবং বেশিরভাগ বাস্কেটবল দলও বেতন কাটার ব্যাপারে সম্মতি দিয়েছে।
এমএমআর/জেআইএম