চিলির জালে বলই প্রবেশ করাতে পারলো না আর্জেন্টিনা
কোপা আমেরিকা বিপর্যয়ের পর এই প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার জন্য মাঠে নামলো লিওনেল মেসির দেশ আর্জেন্টিনা। যদিও ম্যাচটা ছিল প্রীতি ম্যাচ এবং লিওনেল মেসি ছিলেন না এই ম্যাচে। এমনিতেই নিষেধাজ্ঞার খড়গ ঝুলছে মেসির ওপর। যে কারণে তাকে দলেই নিতে পারেননি আর্জেন্টাইন কোচ লিওনেল স্কোলানি।
শুধু মেসি কেন, এবার স্কোলানি দল সাজিয়েছেন সার্জিও আগুয়েরো এবং অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়াকে ছাড়াই। তারকাদের অনুপস্থিতির কারণে আর্জেন্টিনাও যেন গোল করতে ভুলে গেলো।
চিলির বিপক্ষে খেলতে নামলো তারা আমেরিকার লস এঞ্জেলেসের মেমোরিয়ার কলোসিয়ামে। ৯০ মিনিটের দুন্ধুমার লড়াই শেষে দুই দলই মাঠ ছাড়লো কোনো গোলছাড়া। অর্থ্যাৎ ম্যাচটা হলো গোলশূন্য ড্র। কেউ কারো জালে বল প্রবেশ করাতে পারেনি।
বেশ কয়েক বছর ধরেই চিলির সঙ্গে আর্জেন্টিনার প্রতিদ্বন্দ্বীতা বেড়েছে। ২০১৫ এবং ২০১৬ কোপা আমেরিকার ফাইনালে পরপর দু’বার দেখা হয় আর্জেন্টিনা-চিলির। কিন্তু দু’বারই হেরেছিল আর্জেন্টিনা। আবার এবারের কোপা আমেরিকার তৃতীয় স্থান নির্ধারণী লড়াইয়ে মুখোমুখি হয়ে জিতেছিল আর্জেন্টাইনরা।
দু’দলের প্রতিদ্বন্দ্বীতাটা কোন পর্যায়ে সেটা এই প্রীতি ম্যাচের দিকে তাকালেই বোঝা যায়। কারণ এই এক ম্যাচেই ১০বার হলুদ পকেট থেকে বের করতে হয়েছিল রেফারিকে। সর্বোচ্চ ৬টি হলুদ কার্ড দেখেছে আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়রা। ৪টি দেখেছে চিলির খেলোয়াড়রা।
মেসি-আগুয়েরো না থাকলেও আর্জেন্টিনা দলে ছিলেন পাওলো দিবালা, লোটারো মার্টিনেজের মত আক্রমণাত্মক খেলোয়াড়রা। কিন্তু লস এঞ্জেলেস কলোসিয়ামের সমর্থকদের গোলের কোনো আনন্দ দিতে পারলেন না তারা।
ম্যাচের ১১ মিনিটে পাওলো দিবালার একটি দুর পাল্লার শট অল্পের জন্য গোল হতে গিয়েও হলো না। গোল রক্ষক ক্লদিও ব্রাভো দারুণ দক্ষতায় সেটা সেভ করে নেন। ম্যাচ শেষ হওয়ার ৫ মিনিট আগে অভিষিক্ত খেলোয়াড় লুকাস মার্টিনেজ কুয়ার্টা গোল করেই ফেলেছিলেন প্রায়। তাতে তার অভিষেকটা হতে পারতো স্বপ্নের মত। কিন্তু তার তার হেডটা ফিরে আসে পোস্টে লেগে।
আইএইচএস/এমএস