‘আমি নিশ্চিত আবার একদিন বাংলাদেশে ফিরব’
মাসিহ সাইগানি। আফগানিস্তানের এ ডিফেন্ডার এবার বাংলাদেশের ঘরোয়া ফুটবলে খেলে গেছেন আবাহনীতে। মৌসুম শেষ করে পাড়ি জমিয়েছেন ভারতে। ইন্ডিয়ান সুপার লিগের (আইএসএল) দল চেন্নাইন এফসিতে নাম লিখিয়েছেন এ আফগান।
আবাহনীকে ফেডারেশন কাপ চ্যাম্পিয়ন করা, প্রিমিয়ার লিগে রানার্সআপ করা এবং এএফসি কাপের নকআউট পর্বে ওঠানোয় বড় অবদান এই আফগানিস্তানের ডিফেন্ডারের। রক্ষণের খেলোয়াড় হলেও গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে গোল করে আবাহনীকে জিতিয়েছেন সাইগানি। বলতে গেলে আবাহনীর এএফসি কাপের এ সাফল্য এসেছে সাইগানির ওপর ভর করেই।
আবাহনী চেষ্টা করেছিল মাসিহ সাইঘানিকে এএফসি কাপের ইন্টার জোন প্লে-অফ সেমিফাইনালের ম্যাচ দুটিতে পেতে। এ জন্য ভারতীয় ক্লাবের সঙ্গে দেনদরবারও করেছিল আকাশি-হলুদ জার্সিধারীরা। কিন্তু চেন্নাই তাকে কাগজ-কলমে দলভুক্ত করে ফেলায় সে সুযোগ আর ছিল না।
মাসিহ সাইঘানি আজ (রোববার) রাতে তার ফেসবুক ওয়ালে আবাহনী, সমর্থক ও বাংলাদেশের ফুটবল নিয়ে দিয়েছেন আবেগঘন এক স্ট্যাটাস। এ আফগান ফুটবলারের দেয়া স্ট্যাটাস তুলে ধরা হলো-
‘বাংলাদেশে আমার শুরুটা হয়েছিল খুব খারাপভাবে। আমি হতাশ ছিলাম। তবে আমার কাছে অর্থের চেয়ে বেশি মূল্যবান ছিল সৎ থাকা। খারাপ শুরুর পর আবাহনীতে তৈরি হয়েছে রূপকথার কাহিনী।
আমি আবাহনীতে খেলেছি, ফেডারেশন কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছি, এএফসি কাপে ইতিহাস সৃষ্টি করেছি-এ সবই আল্লাহর আশীর্বাদ। এ সব আপনি কোনো অর্থের বিনিময়ে কিনতে পারবেন না। আল্লাহ শক্তি ও সামর্থ্য দিয়েছিলেন আমাকে এবং আমার দলকে দুর্দান্ত এক মৌসুম পার করতে। আলহামদুলিল্লাহ।
আমার সব সতীর্থ, সমর্থক, কোচিং স্টাফ এবং আবাহনীর কর্মকর্তাকে ধন্যবাদ জানাই নিরন্তর সমর্থন, অনুপ্রেরণা ও আত্মবিশ্বাসে যোগান দেয়ার জন্য। আমার ওপর বিশ্বাস রাখার জন্যও তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। আমি আবাহনীকে শুভ কামনা জানাই আগামীর জন্য। বিশেষ করে এএফসি কাপের ইন্টার জোন প্লে-অফ সেমিফাইনালের ম্যাচ দুটির জন্য।
আমি এখন আর আবাহনীর খেলোয়াড় নই। তবে আকাশি-হলুদে’র বড় সমর্থক আমি। আবাহনী বাংলাদেশের অন্যতম বড় দল। তাদের ঐতিহ্য আছে। ইতিহাস আছে। অনেক ট্রফি জিতেছে ক্লাবটি।
আমি নিশ্চিত, আবার একদিন বাংলাদেশে ফিরবো। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। আবার সবাইকে ধন্যবাদ দারুণ এ অভিজ্ঞতার জন্য। অনেক অনেক ভালোবাসা। সবকিছুর জন্য আলহামদুলিল্লাহ।’
স্ট্যাটাসে সাইগানি আবাহনীর বিজয়ের কয়েকটি স্মরণীয় ছবিও পোস্ট করেছেন।
আরআই/এমএমআর/জেআইএম