দুই ম্যাচ হাতে রেখেই চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস
বসুন্ধরা কিংসের ট্রফি জয়ের উৎসবটা হতে পারতো সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে। শনিবার সেখানেই মঞ্চ তৈরি ছিল বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের নতুন দলটির জন্য; কিন্তু নিয়তি যেনো লিখে রেখেছিলো কিংসের মুকুট পরার উৎসবটি হবে তাদের ঘরের মাঠ নীলফামারীর শেখ কামাল স্টেডিয়ামে। নতুন চ্যাম্পিয়নদের বরণ করবে প্রিমিয়ার লিগের নতুন ভেন্যু।
তাই তো সিলেটে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের কাছে ১-০ গোলে হেরে শিরোপা জয়ের অপেক্ষা বেড়েছিল গত মৌসুমে চ্যাম্পিয়নশিপ লিগ জিতে প্রিমিয়ারে ওঠা দলটির। বৃহস্পতিবার সেই অপেক্ষা শেষ হলো তাদের। মোহামেডানের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে দুই ম্যাচ হাতে রেখে অভিষেক মৌসুমেই প্রিমিয়ার লিগের ট্রফি জিতলো বসুন্ধরা কিংস। ৬ আসর পর নতুন চ্যাম্পিয়ন পেলো বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ।
ম্যাচটি হওয়ার কথা ছিল বুধবার। শুরুও হয়েছিল; কিন্তু ভারী বর্ষণে ম্যাচ স্থগিত হয়ে যায় খেলা তৃতীয় মিনিটে গড়ানোর পর। বুধবার বসুন্ধরা কিংসের প্রয়োজন ছিল ৩ পয়েন্ট; কিন্তু ওই রাতে ঢাকায় আবাহনী পয়েন্ট হারানোয় আজ বসুন্ধরার দরকার ছিল ১ পয়েন্ট। মোহামেডানের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করে কোটি টাকার মূল্যের পয়েন্ট অ্যাকাউন্টে ঢুকিয়ে শিরোপা নিশ্চিত করে কলিন্দ্রেস,মতিন মিয়াদের দল।
২০১০-২০১১ মৌসুমে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ নাম লিখিয়েই আবাহনীর আধিপত্য ভেঙ্গেছিল শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। অভিষেকেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল নাম বদলিয়ে ঘরোয়া ফুটবলে নতুন শক্তি নিয়ে আবির্ভূত হওয়া ক্লাবটি। এর পর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ট্রফি ঘোরাফেরা করছিল আবাহনী, শেখ জামাল ও শেখ রাসেলের ঘরেই। অবেশেষ এই তিন ক্লাবের বলয় থেকে বের হয়ে ট্রফি খুঁজে নিলো নতুন ঠিকানা। সেই ঠিকানা, বসুন্ধরা কিংস।
বসুন্ধরা কিংস চ্যাম্পিয়ন হলো ২২ ম্যাচে ৫৯ পয়েন্ট নিয়ে। তাদের পেছনে থাকা আবাহনীর পয়েন্ট ৫৫। এক ম্যাচ হাতে থাকা আবাহনী আজই হয়ে গেলো সাবেক চ্যাম্পিয়ন।
আরআই/আইএইচএস/এমকেএইচ