বিস্ময়করভাবে বাফুফের সিদ্ধান্ত বাতিল করলো লিগ কমিটি!
বেশি দিন হয়নি। এই তো গত ২১ জুন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) নির্বাহী কমিটি সভা করে অনুমোদন দিয়েছিল ২০১৯-২০২০ ঘরোয়া মৌসুমের ক্যালেন্ডার। যেখানে নতুন মৌসুমের দলবদল শুরু হওয়ার কথা ছিল ১৬ আগস্ট। ফেডারেশন কাপ দিয়ে ফুটবল মাঠে গড়ানোর তারিখ ছিল ২১ অক্টোবর এবং লিগ শুরুর সিদ্ধান্ত ছিল ডিসেম্বরে।
তিন সপ্তাহ পার হতেই পুরোপুরি পল্টি খেয়েছে বাফুফে। দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থার নির্বাহী কমিটির নেয়া ২৩ দিন আগের সিদ্ধান্ত শনিবার বিস্ময়করভাবে পাল্টে দিয়েছে তাদের স্ট্যান্ডিং কমিটি (প্রফেশনাল লিগ কমিটি)!
বৃষ্টি-বাদল এড়িয়ে শীত মৌসুমে ফুটবল আয়োজনের লক্ষ্যের কথা বলে বাফুফে নিয়েছিল গুরুত্বপূর্ণ এই সিদ্ধান্ত। তাতে বেঁকে বসে ক্লাবগুলো। একটি মৌসুম শেষ না হতেই আরেকটি মৌসুমের দলবদলের তারিখ ঘোষণা করায় তার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে মাঠে-ক্লাবগুলো এই অভিযোগ তুলে আপত্তি করে বাফুফে ঘোষিত ক্যালেন্ডার নিয়ে। বাংলাদেশ ফুটবল ক্লাব সমিতি আনুষ্ঠানিকভাবে বাফুফেকে এ সিদ্ধান্ত বদলের জন্য চাপ প্রয়োগ করে।
৭ টি দাবি সম্বলিত আল্টিমেটামও ক্লাব সমিতি দিয়েছিল বাফুফেকে। তার প্রেক্ষিতেই শনিবার বাফুফের প্রফেশনাল লিগ কমিটি সভা করে স্থগিত করে দিয়েছে আগামী মৌসুমের দলবদলের তারিখ। যার অর্থ, পরের ফুটবল মৌসুম কবে শুরু হবে তা এখন অনিশ্চিত। বাফুফের নির্বাহী কমিটির সভা স্ট্যান্ডিং কমিটি পাল্টে দেয়ার ঘটনা ক্রীড়াঙ্গনে নজিরবিহীন।
লিগ কমিটির সভা শেষে চেয়ারম্যান আবুদস সালাম মুর্শেদী জানিয়েছেন, ‘চলমান লিগ শেষ হওয়ার আগে নতুন দলবদলের তারিখ দেয়া ঠিক হয়নি। আমরা মানছি এটা ভুল ছিল। এখন প্রিমিয়ার লিগের এবং চ্যাম্পিয়নশিপ লিগের যুব দল নিয়ে দুটি টুর্নামেন্ট আয়োজন করে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে চলমান মৌসুম শেষ করবো। এর মধ্যে আমরা ক্লাবগুলোর সঙ্গে আবার বসে নতুন ক্যালেন্ডার ঠিক করবো।’
লিগ কমিটির সভায় উপস্থিত ছিলেন আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের সভাপতি ও বাংলাদেশ ফুটবল ক্লাব সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ,কে,এম মমিনুল হক সাঈদ। সভা শেষে তিনি বলেন, ‘আমরা লিখিতভাবে ৭টি দাবি পেশ করেছিলাম বাফুফের কাছে। যার অন্যতম ছিল দলবদলের তারিখ ও ফুটবল মাঠে গড়ানোর বিষয়টি। ছিল লিগে অংশগ্রহণ বাবদ ৩০ লাখ টাকা করে প্রদানের বিষয়টিও। লিগ কমিটির চেয়ারম্যান ৩০ লাখ টাকা দিতে পারছেন না বলে অসহায়ত্ব প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন পৃষ্ঠপোষকদের কাছ থেকে যে টাকা পাওয়া গিয়েছে সেখান থেকে চ্যাম্পিয়নশিপ লিগ ও ফেডারেশন কাপে খরচ করা হয়েছে। তিনি আমাদের ২০ লাখ টাকা করে দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।’
আরআই/এমএমআর/পিআর