রাগে-ক্ষোভে পুরষ্কার নিলেন না মেসি
চলতি কোপা আমেরিকায় শিরোপা জেতার স্বপ্ন শেষ হওয়ার পর তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে খেলতে নেমে হতাশার এক অর্জনই হয়েছে আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসির।
প্রায় ১৪ বছর পর দ্বিতীয়বারের মতো লাল কার্ড দেখতে হয়েছে তাকে। ২০০৫ সালে আর্জেন্টিনার জার্সিতে নিজের অভিষেক ম্যাচেই প্রথম লাল কার্ড দেখেছিলেন মেসি। সেবারের মতো এবারও তিনি ভুল সিদ্ধান্তের শিকার হয়েছেন।
করিন্থিয়াস এরেনায় ম্যাচের ৩৭ মিনিটের মাথায় পাওলো দিবালার বাড়ানো বল মাঠের মধ্যে রাখতে গিয়ে চিলির ডিফেন্ডার গ্যারি মেডেলের সঙ্গে সংঘর্ষ বেঁধে যায় মেসির। মেডেল বারবার ধাক্কা মারতে থাকলেও মেসি ছিলেন নির্লিপ্ত।
তবু রেফারির মতে মেডেলকে ফাউল করতে উৎসাহিত করার অপরাধে এবং মাথা দিয়ে আঘাত করার ইঙ্গিত করায় মেডেলের সঙ্গে মেসিকেও লাল কার্ড দেখান মেসি। ফলে দুই দলই পরিণত হয় দশ জনে। শেষতক সার্জিও আগুয়েরো ও পাওলো দিবালার গোলে ২-১ ব্যবধানে ম্যাচ ঠিকই জিতেছে আর্জেন্টিনা।
এদিকে ম্যাচের পরেও নিজের রাগ ঠান্ডা করতে পারেননি আর্জেন্টাইন অধিনায়ক লিওনেল। রেফারির ভুল সিদ্ধান্তের প্রতিবাদের ম্যাচ শেষে বের হননি ড্রেসিং রুম থেকে। নিজেকে বন্দী রাখেন লকার রুমেই। পুরো দল যখন বাইরে নিচ্ছিল তৃতীয় হওয়ার পুরষ্কার, তখন অনুপস্থিতই ছিলেন মেসি।
প্রাথমিকভাবে এর কারণ বোঝা না গেলেও, পরে সংবাদমাধ্যমে নিজেই মুখ খুলেছেন ক্ষুদে জাদুকর। মূলত বাজে রেফারিংয়ের প্রতিবাদস্বরূপ পুরষ্কার নিতে বের হননি মেসি। এসময় তিনি ফাইনালের ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেন।
মেসি বলেন, ‘আমরা এমন দুর্নীতির অংশ হতে চাই না। পুরো টুর্নামেন্টজুড়েই রেফারিং ছিলো অত্যন্ত বাজে। দুর্ভাগ্যজনক হলেও, আমি এখনই দেখতে পাচ্ছি এবারের শিরোপা জিতবে ব্রাজিল। ফাইনাল ম্যাচে রেফারি কিংবা ভিএআরের কিছুই করার থাকবে না।’
এসএএস