ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের অপ্রত্যাশিত নায়কেরা!

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশিত: ০২:৩৬ পিএম, ০১ জুন ২০১৯

উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, ইউরোপিয়ান ফুটবল শ্রেষ্ঠত্বের আসর। কাউকে বসিয়ে দেয় নায়কের আসনে, আবার কেউ বনে যান খলনায়ক। কেউ কেউ আবার চলে আসেন একেবারে দৃশ্যপটের বাইরে থেকে, এসেই করেন বাজিমাত।

আর তা যদি হয় ফাইনালের মঞ্চে, তাহলে তো কথাই নেই। আজ রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে মুখোমুখি হবে দুই ইংলিশ ক্লাব লিভারপুল ও টটেনহ্যাম হটস্পার। এর আগে লিভারপুল চারবার শিরোপা জিতলেও, কখনো শিরোপা ছুঁয়ে দেখা হয়নি টট্যানহামের।

আজ রাতের ফাইনালেও হয়ত কেউ হয়ে উঠবেন নায়ক, কেউ হয়ত চলে আসবেন দৃশ্যেপটের বাইরে থেকেও; কিন্তু এর আগে যারা হঠাৎই ফাইনালে বসে গেছেন নায়কের আসনে, এক নজরে এমন ১০ জনকে দেখে নেওয়া যাক-

ডিক ফন ডাইক- ১৯৭১
আয়াক্সের নিয়মিত একাদশে ফন ডাইককে দেখা যেতো কালেভদ্রেই। ফাইনাল খেলতে নেমেই হেডে গোল করে বসেন তিনি। ইংল্যান্ডের ওয়েম্বেলিতে প্যানাথিনাইকসকে ২-০ গোলে হারিয়ে নিজেদের প্রথম ইউরোপিয়ান ক্লাব শিরোপা জিতে নেয় আয়াক্স। আর সেই জয়ে দৃশ্যপটের বাইরে থাকে ডাইকের সেই গোলের ভূমিকা ছিলো মহাগুরুত্বপূর্ণ।

ওলে গানার সোলশেয়ের- ১৯৯৯
অনেকেই ভাবছিলেন টেডি শেরিংহ্যামের গোলেই বোধ হয় বেঁচে গেলো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। কারণ তার গোলেই ক্যাম্প ন্যুর ফাইনালে বায়ার্নের বিপক্ষে সমতা ফিরায় রেড ডেভিলরা। সবাই যখন ড্রয়ের কথা ভাবছেন তখনই দৃশ্যপটের বাইরে থেকে চলে আসেন আরেকজন, তিনি ওলে গানার শোলশায়ের। তার গোলেই বায়ার্নকে হারিয়ে ১৯৯৯ এর ফাইনাল জিতে নেয় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।

রাফায়েল বেনিতেজ- ২০০৫
প্রথমার্ধ শেষে লিভারপুল পিছিয়ে ছিলো তিন গোলে। ২০০৫ সালে ইস্তাম্বুলের সেই ফাইনাল, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল ইতিহাসের সেরা হয়ে ওঠে রাফায়েল বেনিতেজের কল্যাণেই। ৩-০ তে পিছিয়ে পড়েও দারুণভাবে ঘূরে দাঁড়ায় লিভারপুল। তিন গোল শোধ করে, পেনাল্টি শ্যূটআউটে জিতে নেয় শিরোপা।

হুলিয়ানো বেলেত্তি- ২০০৬
তিন বছরে বার্সোলানার হয়ে একটি গোলই করেছেন ব্রাজিলিয়ান হুলিয়ানো বেলেত্তি। সেই গোলটা কোথায় জানেন? চ্যাম্পিয়ন্স লীগ ফাইনালে। ২০০৬ সালে তার সেই একমাত্র গোলেই ফাইনালে আর্সেনালকে হারিয়ে শিরোপা জিতে ফ্রাঙ্ক রাইকার্ডের বার্সা। বেলেত্তির গোলে শিরোপা জিতবে বার্সা, এমনটা কল্পনায়ও ছিলো না কারো।

সার্জিও রামোস- ২০১৪
নির্ধারিত সময়ে প্রতিবেশি অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের রক্ষণ দূর্গ ভাঙ্গতে পারেনি রিয়াল। অতিরিক্ত সময়ে দৃশ্যেপটে আসেন ডিফেন্ডার সার্জিও রামোস। তার গোলেই যেনো পথ খুঁজে পায় লজ ব্লাঙ্কোজরা। এরপর আরো তিন গোল করেন মার্সেলো, বেল এবং রোনালদো। আর তাতেই লা-ডেসিমা জয় করে নেয় রিয়াল মাদ্রিদ।

এমএইচবি/আইএইচএস/জেআইএম

আরও পড়ুন