ইপিএলে ‘ব্যাক টু ব্যাক’ চ্যাম্পিয়ন ম্যান সিটি
সমীকরণটা সহজই ছিলো ম্যানচেস্টার সিটির জন্য। লিগের শেষ ম্যাচে ব্রাইটন এন্ড হোভ আলবিয়ন ক্লাবকে যেকোনো ব্যবধানে জিতলেই টানা দ্বিতীয় এবং সবমিলিয়ে চতুর্থবারের মতো ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন হতো সিটিজেনরা।
সে লক্ষ্য পূরণে বেগ পেতে হয়নি পেপ গার্দিওলার শিষ্যদের। পয়েন্ট টেবিলের ১৭ নম্বরে থাকা দলের বিপক্ষে রীতিমতো গোল উৎসব করেই চতুর্থ শিরোপা জিতে নিয়েছে ম্যান সিটি।
ব্রাইটনের মাঠে খেলতে গিয়ে ম্যান সিটির জয়ের ব্যবধানটা ৪-১ গোলের। স্বাগতিকদের পক্ষে গ্লেন মারে প্রথম গোল করার পর একে একে ৪ গোল করেন ম্যান সিটির সার্জিও আগুয়েরো, এমেরিক লাপোর্তে, রিয়াদ মাহরেজ এবং ইল্কায় গুন্ডোগান।
৩৮ ম্যাচে ৩২ জয় ও ২ ড্রতে ৯৮ পয়েন্ট নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হলো ম্যান সিটি। দিনের অন্য ম্যাচে ওলভসের বিপক্ষে ২-০ গোলে জয় পাওয়া লিভারপুল লিগ শেষ করল দ্বিতীয় অবস্থানে থেকে। ৩৮ ম্যাচে ৩০ জয় ও ৭ ড্রতে তাদের সংগ্রহ ৯৭ পয়েন্ট।
প্রতিপক্ষের মাঠে খেলতে গিয়ে ম্যাচের শুরু থেকেই গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেন আগুয়েরো, স্টার্লিং, মাহরেজরা। কিন্তু তাদের হতবাক করে দিয়ে ম্যাচের ২৭ মিনিটে প্রথম গোলটা করেন ব্রাইটনের স্ট্রাইকার গ্লেন মারে।
তবে গোল শোধ করতে সময় নেয়নি ম্যান সিটি। পরের মিনিটেই ডেভিড সিলভার চতুর পাস ধরে ঠাণ্ডা মাথায় বাম পায়ের শটে বল জালে জড়ান সার্জিও আগুয়েরো।
পরে বিরতিতে যাওয়ার আগেই দলকে এগিয়ে দেন লাপোর্তে। ৩৮তম মিনিটে রিয়াদ মাহরেজের মাপা ক্রসে খালি জায়গায় থাকা লাপোর্তে দারুণ এক হেডে ম্যাচের স্কোরলাইন ২-১ করেন ফরাসি ডিফেন্ডার লাপোর্তে।
বিরতিতে যাওয়ার আগেই লিড পেয়ে যাওয়ায় বিরতি থেকে ফিরেও আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে ম্যান সিটি। যার ফল তারা পায় ৬৩তম মিনিটে। এবার গোল করেন দ্বিতীয় গোলের এসিস্টদাতা মাহরেজ, তাকে এসিস্ট করেন প্রথম গোলে এসিস্টদাতা ডেভিড সিলভা।
ব্রাইটনের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন জার্মান মিডফিল্ডার ইল্কায় গুন্ডোগান। ম্যাচের ৭২ মিনিটে প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে বুলেট গতির ফ্রি কিকে দলের পক্ষে চতুর্থ গোলটি করেন তিনি।
৪-১ গোলের জয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা জয় নিশ্চিত হয় তাদের। এর আগে ২০১১-১২, ২০১৩-১৪ এবং ২০১৭-১৮ মৌসুমে শিরোপা জিতেছিলো ম্যানচেস্টার সিটি।
এসএএস/পিআর