নারী ফুটবলারদের বিশ্বকাপ বাছাইয়ের প্রস্তুতি ইউরোপে!
চার মাসের মতো সময় আছে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের চূড়ান্ত পর্বের আগে। আগামী ১৫ থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর থাইল্যান্ডে বসবে এশিয়ার সেরা ৮ দেশের লড়াই। এটা কেবল কিশোরী ফুটবলারদের এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই-ই নয়, ফিফা অনূর্ধ্ব-১৭ নারী বিশ্বকাপের বাছাই পর্বও।
আট দলের লড়াই শেষে সেরা দুটি দেশ পাবে বিশ্বকাপের টিকিট। এবার বিশ্বকাপে চোখ রেখেই থাইল্যান্ড খেলতে যাবে মারিয়া-মনিকারা। অনূর্ধ্ব-১৭ নারী বিশ্বকাপের পরের আসর বসবে ভারতে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনও মেয়েদের এ দলটি নিয়ে আশাবাদী। সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন মনে করছেন মেয়েদের বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করার সামর্থ্য আছে। মেয়েদের আরো উন্নত ট্রেনিং করিয়েই তিনি দল পাঠাতে চান থাইল্যান্ডে।
আগের আসরে মেয়েদের ৫ বার বিদেশে পাঠিয়ে অনুশীলন করানো হয়েছিল। তাদের দুইবার জাপান এবং একবার করে সিঙ্গাপুর, চীন ও দক্ষিণ কোরিয়া পাঠানো হয়েছিল।
দুই বছর আগে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৬ নারী ফুটবল দল যখন এএফসি চ্যাম্পিয়নশিপের চূড়ান্ত পর্ব খেলতে থাইল্যান্ড গিয়েছিল তখনো ব্যাপক প্রস্তুতি ছিল তাদের। মেয়েদের পেছনে প্রায় ৩ কোটি টাকা খরচ করে থাইল্যান্ড পাঠানো হয়েছিল। বাংলাদেশ ‘বি’ গ্রুপে খেলেছিল উত্তর কোরিয়া, জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে।
তিন ম্যাচে ১৫ গোল খেয়ে শূন্য হাতে ফিরলেও বাংলাদেশের মেয়েদের অর্জন ছিল অনেক। বিশেষ করে দ্বিতীয় ম্যাচে জাপানকে ৩ গোলে আটকিয়ে রাখা এবং শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৭৭ মিনিট পর্যন্ত ২-১ গোলে এগিয়ে থেকে ৩-২ ব্যবধানে হারাটা ছিল বাংলাদেশের ফুটবলাদের ইতিবাচক দিক। প্রথম ম্যাচে উত্তর কোরিয়ার কাছে ৯ গোল খাওয়ার পর জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের লড়াই ছিল দেখার মতো।
এবার দলকে আরো ভালোভাবে প্রস্তুত করার জন্য মেয়েদের ইউরোপে পাঠিয়ে ট্রেনিং করানোর কথা ভাবছে বাফুফে। সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন বলেছেন, ‘আমাদের মেয়েরা এখন এশিয়ার শীর্ষ ৮ দলের একটি। এখান থেকে সেরা দুইয়ে থাকাও সম্ভব। আমরা সে লক্ষ্য পূরণে মেয়েদের জন্য সম্ভব সব কিছু করবো।’
কাজী মো. সালাউদ্দিন মেয়েদের নিয়ে তার পরিকল্পনার কথাও বলেছেন, ‘আমি এই মেয়েদের ইউরোপে পাঠিয়ে অনুশীলন করাতে চাই। ইতিমধ্যে আমি কথা বলেছি ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব চেলসি, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও আর্সেনালের সঙ্গে। যদি অর্থের ব্যবস্থা করতে পারি তাহলে ওদের টুর্নামেন্ট শুরুর ৩ মাস আগেই ইউরোপে পাঠিয়ে দেবো। এ জন্য আমার তিন থেকে চার কোটি টাকার মতো লাগবে।’
কাজী সালাউদ্দিনের বিশ্বাস এই মেয়েরা বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করতে পারবে, ‘ইউরোপে ওরা ট্রেনিং করার পাশপাশি ম্যাচ খেলে তারা বিশ্বকাপ বাছাইয়ে খেলতে যাবে। আমি আশা করি, মেয়েরা বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করতে পারবে। এ জন্য তাদের সেরকম দলেই পরিণত হতে হবে।’
এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইয়ের প্রথম ও দ্বিতীয় পর্ব টপকে বাংলাদেশ জায়গা করে নিয়েছে এশিয়ার সেরা ৮ দলে। সেপ্টেম্বরে থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য লড়াইয়ে বাংলাদেশ ছাড়া আছে থাইল্যান্ড, উত্তর কোরিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, ভিয়েতনাম ও চীন।
আরআই/এসএএস/পিআর