জামাল ভূঁইয়াদের বিশ্বকাপ প্রস্তুতি দেশের বাইরে
লাওসের বিরুদ্ধে বঙ্গমাতা গোল্ডকাপের ফাইনাল হয়নি। হলে কি হতো? বাংলাদেশের মেয়েরা জিততো? নাকি লাওস। বাফুফে সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিনের জবাব, ‘জিততো বাংলাদেশ।’
ফণী আতঙ্কে বাতিল হওয়া মেয়েদের আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের ফাইনাল অতীত হলেও অতীত হয়নি লাওস নামটি। আগামী প্রায় দেড় মাসও ফুটবল অঙ্গনে সবার মুখে থাকবে নামটি। এ দেশটির সঙ্গেই যে বাংলাদেশ খেলতে যাচ্ছে কাতার বিশ্বকাপ বাছাইয়ের প্রথম পর্বের দুটি ম্যাচ। প্রথমটি ৬ জুন লাওসে, ফিরতি ম্যাচ ১১ জুন ঢাকায়।
বিশ্বকাপ বাছাই ম্যাচের বাকি এক মাস। লাওস অজেয় দল নয় বাংলাদেশের জন্য। তাই আশিয়ান অঞ্চলের দেশটিকে হারিয়ে বাছাইয়ের পরের রাউন্ডে ওঠাই বাংলাদেশের প্রত্যাশা। তো এ দুটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে কেমন প্রস্তুতি নিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ? প্রশ্নটি করা হয়েছিল বাফুফে সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিনকে। তার জবাব, ‘এই চেয়ারে (বাফুফে সভাপতি) থেকে আমার যা সম্ভব সেই চেষ্টাই করব জাতীয় দলের জন্য।’
লাওসের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ম্যাচের জন্য জামাল ভূঁইয়াদের ক্যাম্প হবে দেশের বাইরে। এ মাসের শেষ সপ্তাহে জাতীয় দল নিয়ে দেশের বাইরে চলে যাবেন ইংলিশ কোচ জেমি ডে। তবে কোন দেশে অনুশীলন করবে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা, তা এখনো ঠিক হয়নি। থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুর-এই তিন দেশের সঙ্গে যোগাযোগ চালিয়ে যাচ্ছে বাফুফে।
যে দেশেই অনুশীলন করবে জাতীয় দল, সে দেশেই খেলবে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ। সে দেশের জাতীয় দল কিংবা ক্লাব দলের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে জুনের ৩ বা ৪ তারিখ লাওস যাবে দল।
‘আমার যা যা করার তাই করবো। বাকিটা নির্ভর করবে কোচ এবং খেলোয়াড়দের ওপর। দল বিদেশে ক্যাম্প করতে পাঠাবো, দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে। আজই আমি এই একটি ম্যাচের প্রস্তুতির বাজেট নিয়ে বসেছিলাম। এক-দেড় কোটি টাকা লাগবে। এই টাকা সংগ্রহ করতে হবে। আমার কাজগুলো আমি এবং আমার ফেডারেশন করে দিচ্ছি। এখন যা করার খেলোয়াড়দের করতে হবে, কোচকে করতে হবে। আমি খেলে দিতে পারবো না। এক কথায় একজন মানুষের পক্ষে যা করার আমি করবো’-বলেন বাফুফে সভাপতি।
মধ্য বিরতি কাটিয়ে সোমবার শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের দ্বিতীয় পর্ব। লিগের তিন বা চার রাউন্ড হওয়ার পরই আবার বিরতি দেয়া হবে জাতীয় দলের প্রস্তুতির জন্য। মে মাসের ২৪-২৫ তারিখের দিকে বাছাইকৃত খেলোয়াড় নিয়ে ক্যাম্প করতে চলে যাবেন জেমি ডে।
লাওসের বিরুদ্ধে হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ম্যাচ জিতলে বাংলাদেশ খেলবে কাতার বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দ্বিতীয় পর্বে। প্রথম পর্বের ৬ দল যোগ দেবে এশিয়ার প্রথম ৩৪ দলের সঙ্গে। ৪০ দেশ নিয়ে হবে বাছাইয়ের দ্বিতীয় পর্ব।
আরআই/এমএমআর/এমকেএইচ