পুরস্কারের অর্থ সবাইকে নিয়েই খরচ করবেন মনিকা
ম্যাচসেরার পুরস্কার নিয়ে মনিকা চাকমা সংবাদ সম্মেলন কক্ষে যাওয়ার সময় মাঠের পাশেই কয়েকজন সমর্থক ফুলের মালা নিয়ে হাজির তার সামনে। সঙ্গে ছিলেন কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনও। দল ফাইনালে উঠেছে- এমন খুশির পর সমর্থকদের বিমুখ করলেন না মেয়েদের কোচ ছোটন। সেমিফাইনালের সেরা খেলোয়াড়কে নিয়ে দর্শকদের ফুলের মালা গ্রহণ করলেন সানন্দে। দর্শকরা মুহূর্তটি স্মৃতি করে রাখতে সেলফিও তুলেন কোচ আর মনিকার সঙ্গে।
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের প্রেসবক্স ঘেঁষা সিঁড়ি দিয়ে মনিকাকে নিয়ে কোচ যখন সংবাদ সম্মেলন কক্ষের দিকে যাচ্ছিলেন, তখন গ্যালারির দর্শকরা হাততালি দিয়ে তাদের অভিবাদন জানান। কয়েকজন হাত এগিয়ে দেন কোচের দিকে। বিজয়ের থিঙ্কট্যাংকের হাতের পরশই যেন তাদের কাছে অনেক কিছু।
কেমন লাগছে ম্যাচসেরা হয়ে? প্রশ্ন করতেই মনিকা চাকমা পুরো কৃতিত্ব দিলেন সতীর্থদের। ‘সবার প্রচেষ্টাতেই আমরা জিততে পেরেছি। আমাদের প্রথম লক্ষ্য ছিল ফাইনাল। সেটা পূরণ হয়েছে। এখন আমাদের লক্ষ্য চ্যাম্পিয়ন হওয়া’-বলেন বাংলাদেশকে ফাইনালে তুলতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করা মনিকা।
ম্যাচসেরা হলে কার না ভালো লাগে? মনিকাও ব্যতিক্রম নয়। প্রতিক্রিয়ায় মনিকা বলেছেন, ‘এই টুর্নামেন্টে আমি প্রথম সেরা হলাম। ভালো লাগছে। দল জেতায় আরো বেশি খুশি হয়েছি। টুর্নামেন্টে এখন আমাদের আরো বড় খেলা ফাইনাল। আমাদের জন্য সবাই দোয়া করবেন।’
ফাইনালের প্রতিপক্ষ লাওসকে শক্ত দল উল্লেখ করে মনিকা বলেছেন, ‘প্রতিপক্ষ হিসেবে ওরা অনেক কঠিন। আমরা চেষ্টা করবো ভালো কিছু করার।’ দলের গোল মিস নিয়ে মনিকা বলেন, ‘ফিনিশিং আমাদের ভালো হচ্ছে না। আমরা ফাইনালে চেষ্টা করবো যে সুযোগগুলো আসবে তা কাজে লাগাতে।’
বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হবে, এমন আশা এখনই মনের মধ্যে পুষে ফেলেছেন মনিকা। তিনি বলেন, ‘দেশের মাটিতে খেলা। সবাই সাপোর্ট করতে আসবে। আমরা চেষ্টা করবো ভালো কিছু করার।’
সানজিদা আগের ম্যাচে সেরা হয়ে বলেছিলেন পুরস্কার হিসেবে পাওয়া অর্থ অ্যাকাউন্টে রাখবেন, আপনি কী করবেন? অনেকটা ইতস্তত হয়ে মনিকার জবাব, ‘আসলে দেখেন সবাই ভালো খেলছি বলেই জিতেছি। ১০ জন আমাকে বল না দিলে তো আমিও গোল দিতে পারতাম না। এটা সবারই কৃতিত্ব। তাই আমি চেষ্টা করব সবাইকে নিয়েই কিছু করার।’ পাশ থেকে কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন বলেন- ‘ও সবাইকে ট্রিট দেবে, আমরাও পাবো।’
ফাইনালেও ম্যাচসেরা হতে চান কিনা জানতে চাইলে মনিকা চাকমা বলেন, ‘ ম্যাচ জিতলে আমি ম্যান অব দ্যা ম্যাচ না হলেও হবে। ভালো খেলে চ্যাম্পিয়ন হতে চাই। সবাই ভালো খেলে শিরোপা জিততে চাই।’ আগে কখনো ম্যাচসেরা হয়েছেন? ‘হ্যাঁ হয়েছি, দুইবার, অনূর্ধ্ব-১৫ টুর্নামেন্টে’-জবাব মনিকার।
আরআই/এমএমআর/এমকেএইচ