ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

দেশের জন্য ফুটবল খেলে আমি গর্বিত : ফিফাকে জামাল ভূঁইয়া

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশিত: ০৭:০৪ পিএম, ৩০ এপ্রিল ২০১৯

বিশ্বকাপে খেলা মানেই একজন ফুটবলারের কাছে স্বপ্নের মতো। হোক সেটা বাছাই বা প্রাক-বাছাই পর্ব। কারণ জামাল আগেও বিশ্বকাপ বাছাই খেলেছে। ‘‘ জামাল ভুঁইয়ার সে স্বপ্ন পুরুণ হয়েছে আগেই। তিনি আরো একবার খেলতে যাচ্ছেন বিশ্বকাপ বাছােইয়ের ম্যাচ। ৬ জুন লাওসের বিপক্ষে বাংলাদেশ খেলবে কাতার বিশ্বকাপ বাছাইয়ের প্রথম পর্বের অ্যাওয়ে ম্যাচ। 

ডেনমার্কে বড় হওয়া, সেখানে ফুটবলে হাতেখড়ির পর দেশের জার্সি গায়ে ফুটবল খেলতে বাংলাদেশে আসা এবং বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ নিয়ে ফিফাকে সাক্ষাতকার দিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। সেখানে তিনি বলেছেন, ‘দেশ ও দেশের মানুষের প্রতিনিধি হয়ে ফুটবল খেলাটা গর্বের। আমি সে গর্বই অনুভব করি সর্বদা।’

আজ (মঙ্গলবার) ফিফার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে বাংলাদেশ অধিনায়কের এই বিশাল সাক্ষাতকারটি। সেখানে জামাল শুরুতেই বিশ্বকাপের ম্যাচ খেলতে পারবেন বলে তার রোমাঞ্চের কথা উল্লেখ করেছেন।

‘আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য হলো বিশ্বকাপ বাছাইয়ের পরবর্তী রাউন্ডে ওঠা। আমি মনে করি, আমাদের সুযোগ আছে লাওসের বিরুদ্ধে ভালো ফলাফল করার। আমরা এটাও জানি, লাওস আমাদের কাজটা কঠিন করে তুলতে পারে। তাই আমাদের ১১০ পার্সেন্ট পরিশ্রম করতে হবে। প্রস্তুতি নিতে হবে এবং ম্যাচের দিকে ফোকাস দিতে হবে’-বলেছেন জামাল ভূঁইয়া।

বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচটি বাংলাদেশের ফুটবলের জন্য আরেকটি অর্জন হতে পারে। জামাল ভূঁইয়ার গোলে গত এশিয়ান গেমসে বাংলাদেশ ইতিহাস সৃষ্টি করেছিল প্রথমবারের মতো দ্বিতীয় পর্বে উঠে। বাংলাদেশ ১-১ গোলে ড্র করেছিল থাইল্যান্ডের সঙ্গে। কাতারকে ১-০ ব্যবধানে হারানো গোলটি করেছিলেন জামাল ভূঁইয়া। যে জয়ে নিশ্চিত হয়েছিল লাল-সবুজ জার্সিধারীদের শেষ ষোলোতে ওঠা। হেরেছিল উজবেকিস্তানের কাছে ৩-০ গোলে।

এশিয়ান গেমস নিয়ে জামাল ভূঁইয়া ফিফাকে বলেছেন, ‘আমরা এশিয়ান গেমসে ভালো খেলেছি। ওই মিশনটা আমাদের জন্য ছিল স্মরণীয়। আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিদের চমকে দিয়েছিলাম। কাতারের বিপক্ষে গোলটি আমার জন্য ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এ গোলেই আমাদের দ্বিতীয় পর্ব নিশ্চিত হয়েছিল।’

এক বছর আগে বাংলাদেশের কোচের দায়িত্ব নেয়া জেমি ডে প্রসঙ্গে জামাল ভূঁইয়া বলেছেন, ‘আমি মনে করি, গত কয়েক বছরে বাংলাদেশে যে বিদেশি কোচরা এসেছেন, তাদের মধ্যে জেমিই সেরা। সব খেলোয়াড় তাকে সম্মান করে এবং বুঝতে পারে কোচ কী চান। জেমি দায়িত্ব নেয়ার পর আমাদের খেলার অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন হয়েছে। দল হিসেবে আমরা আগের চেয়ে ফিটনেস, ট্যাকটিস ও মানসিকভাবে অনেক শক্তিশালী হয়েছি।’

ফিফার সঙ্গে জামাল ভূঁইয়ার সাক্ষাতকারে বাংলাদেশের ক্রিকেট প্রসঙ্গও উঠেছে। তিনি আরও বলেছেন,‘বেশ কিছু দিন ধরে ক্রিকেট বাংলাদেশের খেলাধুলায় প্রাধান্য বিস্তার করে আসছে। তবে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের দ্রুত অগ্রগতিতে ফুটবলও সবাইকে আকৃষ্ট করছে। বাংলাদেশের ফুটবল ভালোভাবেই এগুচ্ছে। ফুটবলে এখন অনেক প্রতিষ্ঠান পৃষ্ঠপোষক হয়ে আসছে। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ আকর্ষণীয় হচ্ছে অনেক দল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকায়। হতে পারে ঢাকায় ক্রিকেট এক নম্বরে। কিন্তু ঢাকার বাইরে ফুটবলই নাম্বার ওয়ান।’

অধিনায়কত্বকে দায়িত্ব হিসেবে উল্লেখ করে জামাল ভূঁইয়া বলেন, ‘আমি দলের নেতৃত্ব দেয়ার জন্য অন্যতম একজন। যদি কখনো চাপে থাকি তখন দলকে সহযোগিতা করার দায়িত্ব আমার। আমি তরুণদের দিক নির্দেশনা দিতে পারি। তাদের বলতেও পারি যে আমি কোথায় ব্যর্থ হয়েছি। তাই তারা আমার কাছ থেকে অনেক কিছু শিখতে পারে। আমি আমার অভিজ্ঞতার কথাও তাদের বলি। আশা করি, আমার ভূমিকা দলকে এগিয়ে নিতে সহযোগিতা করে। জাতীয় দলে খেলি দেশের ১৬৫ মিলিয়ন মানুষের প্রতিনিধি হয়ে। এটা আমার কাছে অন্যরকম একটা অনুভূতি।’

আরআই/এমএমআর/এমএস

আরও পড়ুন