একাডেমিতে ফুটবল খেললেন কাজী সালাউদ্দিন
রাজধানীর বাড্ডার বেরাইদে ফর্টিজ গ্রুপের মাঠটি শুক্রবার হয়েছিল ফুটবলময়। বাফুফে, ফর্টিজ গ্রুপ আর কে-স্পোর্টস মিলে ফুটবলের এই নতুন প্রাণকেন্দ্রে আয়োজন করেছিল ‘উইমেন্স ফুটবল ডে’। রাজধানীর ৬ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় দেড়শত ছাত্রী এবং বাফুফের ক্যাম্পের ফুটবলাররা দিনভর খেলার পাশাপাশি মেতেছিলেন নানা আনন্দ-উৎসবে। যেখানে বাড়তি আকর্ষণ ছিলেন কলম্বিয়ার দুই নারী ফুটবলার।
এত আয়োজনের উদ্দেশ্য ২২ এপ্রিল শুরু হতে যাওয়া বঙ্গমাতা অনূর্ধ্ব-১৯ মহিলা আন্তর্জাতিক গোল্ডকাপ। প্রথমবারের মতো নিজেদের উদ্যোগে মেয়েদের নিয়ে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট করতে যাচ্ছে ফুটবল ফেডারেশন। নানাভাবে সেই টুর্নামেন্টের প্রচার-প্রচারণা দেয়ার উদ্দেশ্যেই কলম্বিয়ান দুই নারী ফুটবলারকে উড়িয়ে আনা এবং বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা।
গত ৫ এপ্রিল ফর্টিজ গ্রুপের এ মাঠে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করেছে বাফুফের নতুন ফুটবল একাডেমি। বন্ধ হয়ে যাওয়া সিলেট বিকেএসপির একাডেমি ঘটা করে উদ্বোধন করলেও বেরাইদের একাডেমি বাফুফে শুরু করেছে অনেকটা নীরবে। যাত্রা শুরু এক সপ্তাহের মাথায় ‘উইমেন্স ফুটবল ডে’ উপলক্ষ্যে সবুজ মাঠটি মুখরিত হলো কয়েকশত ছেলে-মেয়ের উপস্থিতিতে।
সকালে অনুষ্ঠান শুরু হলেও বাফুফে সভাপতি একাডেমি মাঠে উপস্থিত হন দুপুরের পর। মাঠভরা মেয়েদের খেলতে দেখে বলে লাথি দেয়ার লোভ হয়তো সামলাতে পারেনি কিংবদন্তি এ ফুটবলার। মেসির জার্সি পড়া এক ক্ষুদে ফুটবলারের সঙ্গে খেলায় মেতে উঠেন কাজী মো. সালাউদ্দিন।
দিনটি ছিলো মেয়েদের। কিন্তু যাদের জন্য এই মাঠ বরাদ্দ দিয়েছে ফর্টিজ গ্রুপ, একাডেমির সেই ফুটবলাররা কী এমন দিনে বসে থাকতে পারেন? বিকেলে তারাও এলেন মাঠে। সঙ্গে একাডেমির দায়িত্বে থাকা বাফুফের সব কোচ। একাডেমির ফুটবলাদের সঙ্গে কিছু সময়ও কাটালেন বাফুফে সভাপতি। তাদের দিলেন নানা উপদেশ।
‘আমি তোমাদের সামনে দাঁড়িয়েছি তোমরা কেমন আছো সেটা জানতে। তোমাদের অনুশীলন, খাওয়া-দাওয়া এবং থাকার কোনো সমস্যা আছে কিনা তা জানতে। তোমরা সবাই ভালো আছো তো?-কাজী সালাউদ্দিনের মুখের কথা শেষ না হতেই ফুটবলারদের সমস্বরে আওয়াজ, ‘জ্বী স্যার, আমরা ভালো আছি।’
পরে ছেলেদের সাহস ও উৎসাহ দিয়ে কাজী মো. সালাউদ্দিন বলেছেন, ‘তোমরা কোনো চিন্তা করবে না। কোনো সমস্যা হলে তোমাদের কোচদের জানাবে। আমি সমাধান করবো। আর একটা কথা মনে রাখবে, বড় ফুটবলার হতে হলে প্র্যাকটিসের বিকল্প নেই। ফুটবলে একটাই কথা-প্র্যাকটিস, প্র্যাকটিস এবং প্র্যাকটিস।’
আরআই/এমএমআর/এমকেএইচ