ম্যানইউর মাঠে গিয়ে রক্তাক্ত মেসি
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে খেলতে পারবে লিওনেল মেসির দল বার্সেলোনা? এ প্রশ্নের জবাবে অধিকাংশই বলবেন, হ্যাঁ পারবে। কারণ, কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে ম্যানইউর মাঠে গিয়ে ১-০ গোলে জিতে এসেছে বার্সা। এই জয়ে সেমির পথে এক পা দিয়েই রাখলো কাতালানরা।
স্কোর লাইনই বলে দিচ্ছে, ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে বার্সা এবং স্বাগতিক ম্যানইউর মধ্যে। যদিও ম্যাচের শুরুতেই লুক শ’র আত্মঘাতি গোলে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। শেষ পর্যন্ত ওই আত্মঘাতি গোলই হয়ে যায় ম্যাচের জয়-পরাজয় নির্ধারক। জয় নিয়ে ন্যু ক্যাম্পে ফিরে আসে মেসির দল।
এই ম্যাচটা বার্সার জন্য কতটা কঠিন ছিল, সেটা একটি চিত্র দিয়েই বোঝানো সম্ভব। এই ম্যাচে রক্তাক্ত হয়েছেন বার্সার প্রাণভোমরা লিওনেল মেসি।
ম্যাচের বয়স যখন আধঘণ্টা, ওই সময় মেসির মুখে আঘাত করে বসেন ম্যানইউর ডিফেন্ডার ক্রিস স্মলিং। বল দখলের লড়াইয়ে হঠাৎ স্মলিংয়ের হাতের আঘাত লাগে মেসির মুখে। সেই আঘাতে রক্ত ঝরতে শুরু করে বার্সা তারকার। আঘাতটা লেগেছিল মূলত নাকের ভেতর। সেখান থেকেই রক্ত ঝরতে দেখা যায় তার।
সঙ্গে সঙ্গেই মাঠে নেমে আসেন বার্সার চিকিৎসক এবং তার সহকারী। মাঠের মধ্যেই শশ্রুষা চলে মেসির। অবশেষে আবার খেলা শুরু করতে সক্ষম হন রেফারি।
তবে ক্রিস স্মলিংয়ের এই আঘাত কিন্তু কোনোভাবেই ইচ্ছাকৃত ছিল না। যার প্রমাণ, এই ঘটনায় স্মলিংয়ের প্রতি রেফারির কোনো কার্ড প্রদর্শন না করা। এমনকি আঘাত লাগার পর হয়তো অনেকে বুঝতেই পারেননি, আসলে কোনো ঘটনা ঘটেছে। মুখ চেপে ধরে মেসি যখন মাঠের মধ্যে শুয়ে থাকেন, তখনেই বিষয়টা সবার নজরে আসে এবং রেফারি ক্ষণিকের জন্য খেলা বন্ধ করে দেন।
আইএইচএস/জেআইএম