এই রেকর্ডে মেসির সঙ্গে আছেন কেবল একজন
শিরোনামটাই এমন, ‘মেসি : বার্সেলোনাস উইনিং মেশিন।’ খাঁটি বাংলায় বার্সেলোনার জয়ের মেশিন লিওনেল মেসি। এস্পানিওলের বিপক্ষে জয়ের সঙ্গে সঙ্গেই ইতিহাসের এমন একটি অধ্যায়ে মেসির নাম লেখা হলো, যেখানে এখনও পর্যন্ত আছেন কেবল একজন। তিনি হলেন রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক অধিনায়ক ইকার ক্যাসিয়াস।
কি এমন করলেন মেসি আর ক্যাসিয়াস, যার জন্য ইতিহাসের পাতায় আলাদা একটি অধ্যায়ই যোগ করতে হলো? তাদের দু’জনের রেকর্ড অবশ্য বিরল। স্প্যানিশ লা লিগার ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জয় করার রেকর্ডে যে এখন সমানভাবে নাম লেখা হয়ে গেলো ক্যাসিয়াস আর মেসির! যদিও মেসির সামনে অচীরেই ক্যাসিয়াসকে ছাড়িয়ে গিয়ে এককভাবে শীর্ষে উঠে যাওয়ার সুযোগ।
রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে গোলরক্ষক ইকার ক্যাসিয়াস লা লিগায় খেলেছিলেন ৫১০ ম্যাচ। খেলোয়াড় হিসেবে সর্বোচ্চ ৩৩৪ ম্যাচ জিতেছেন তিনি। এস্পানিওলের বিপক্ষে জয় দিয়ে লিওনেল মেসি একই উচ্চতায় পৌঁছালেন ৪৪৫ ম্যাচ খেলে।
২০০৪ সালে বার্সার হয়ে অভিষেক লিওনেল মেসির। সেই থেকে এখনও পর্যন্ত লা লিগায় খেললেন ৪৪৫ ম্যাচ। জয় করলেন ৩৩৪ ম্যাচ। স্বাভাবিকভাবেই ইতিহাসের সর্বকালের সেরা জয়ের রেকর্ডধারী হতে যাচ্ছেন বার্সার আর্জেন্টাইন তারকা।
চলতে বছরের ১৬ অক্টোবর লা লিগায় মেসির ১৫ বছরের ক্যারিয়ার পূর্ণ হবে। এই ১৫ বছরে একাধারে খেলে যাচ্ছেন আর্জেন্টাইন এই বিস্ময় ফুটবলার। দলে থাকা মানেই সেরা একাদশে তার স্থান নিশ্চিত। এর অন্যথা হওয়ার কথা নয়। ছিলও না, সামনে থাকবেও না।
বর্তমানে পোর্তোয় খেলা ইকার ক্যাসিয়াসের সমতায় উঠলেও সামনের ম্যাচেই মেসির সামনে সুযোগ। ২০০৩ সালে বার্সেলোনার সিনিয়র দলের হয়ে প্রথম খেলেন মেসি। সেটা ক্যাসিয়াসের বর্তমান দল পোর্তোর বিপক্ষে। প্রথমবারেরমত সেবার হোসে মরিনহো কোচ হয়ে এসেছেন পোর্তোয়। ৭৫ মিনিটে বার্সার হয়ে প্রথম মাঠে নামার সুযোগ হয় তার। অর্থ্যাৎ, বার্সার হয়ে মেসির জীবনের প্রথম মিনিটই খেলা হয়েছে মরিনহো এবং বর্তমানে ক্যাসিয়ারে ক্লাব পোর্তোর বিপক্ষে।
লা লিগায় মেসির সামনে এখন কেবল আছেন রিয়ালের একজন। তিনি সার্জিও রামোস। এখনও পর্যন্ত লা লিগায় তার জয় করা ম্যাচের সংখ্যা ৩০০টি। যদিও এখনও পর্যন্ত এই তালিকায় রামোস রয়েছেন আট নম্বরে। এরপরের বর্তমান খেলোয়াড়ের মধ্যে রয়েছেন বার্সার সার্জিও বুস্কেটস। তিনি জিতেছেন ২৫৭টি ম্যাচ।]
আইএইচএস/জেআইএম