আগুয়েরো জাদুতে সেমিতে ম্যান সিটি
ম্যাচের সময় ত্রিশ মিনিট পেরুনোর আগেই তুলনামূলক দুর্বল সোয়ানসি সিটির দুই গোল হজম করে বসে ম্যানচেস্টার সিটি। ঘড়ির কাঁটা ৬০ মিনিট অতিবাহিত হওয়ার পরেও ০-২ গোলে পিছিয়েই ছিল তারা। তবু রেফারির শেষ বাঁশি বাজার সময় চওড়া হাসিটা ম্যান সিটি কোচ পেপ গার্দিওলার মুখেই।
কেননা শেষের ত্রিশ মিনিটে দুর্দান্ত খেলেছে তার দল, শোধ করেছে ২ গোল, পরে করেছে আরো একটি। সবমিলিয়ে ০-২ গোলে পিছিয়ে থাকা ম্যাচে ৩-২ ব্যবধানে জিতেই এফএ কাপের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে ম্যানচেস্টার সিটি।
শনিবার রাতে সোয়ানসির মাঠে ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণের পসরা সাজায় ম্যান সিটি। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখাটা প্রথমে পেয়েছে স্বাগতিকরাই। ম্যাচের ২০তম মিনিটে পেনাল্টি কিক থেকে দলকে লিড এনে দেন ইংলিশ মিডফিল্ডার ম্যাট গ্রিমস।
মিনিট নয়েক পরে দুর্দান্ত এক পাল্টা আক্রমণ সাজায় দ্বিতীয় সারির ক্লাব সোয়ানসি। তাদের গতিময়তার কাছে পরাস্ত হয় ম্যান সিটির ডিফেন্স। দলকে এগিয়ে দেয়া গোলটা করেন কসোভোর মিডফিল্ডার বারসান্ত সেলিনা।
দুই গোলে পিছিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় ম্যান সিটি। দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে ম্যাচের ৬৮তম মিনিট পর্যন্ত পিছিয়েই থাকা তারা। ৬৯তম মিনিটে সার্জিও আগুয়েরোর কাছ থেকে দারুণ এক পাস পেয়ে এক গোল শোধ করেন পর্তুগিজ মিডফিল্ডার বার্নার্দো সিলভা।
নয় মিনিট পরেই সোয়ানসির পক্ষ থেকে যেনো উপহার পায় ম্যান সিটি। পেনাল্টি কিক থেকে দলকে এগিয়ে দেয়ার সহজ সুযোগ হেলায় নষ্ট করতে বসেছিলেন আগুয়েরো। তার করা শটটি বাঁধা পায় পোস্টে, তবে ফেরার পথে তা সোয়ানসি গোলরক্ষকের গায়ে লেগে ঢুকে যায় জালে। সমতায় ফেরে ম্যান সিটি।
ম্যাচের ৮৮তম মিনিটে জয়সূচক গোলটিও করেন আগুয়েরো। রেফারির প্রশ্নবিদ্ধ সিদ্ধান্তের বলি হয় সোয়ানসি। বার্নার্দো সিলভার ক্রসে যখন হেড করেন আগুয়েরো, দেখা যায় পরিষ্কার অফসাইডে ছিলেন তিনি। তবে রেফারির চোখ এরিয়ে যাওয়ায় গোল পায় ম্যান সিটি। ০-২ থেকে ৩-২ গোলের জয়েই মাঠ ছাড়ে তারা।
এসএএস/এমএস