মেসি-রামোসের ঠোকাঠুকি
রিয়াল মাদ্রিদ আর বার্সেলোনার ম্যাচে কথা কাটাকাটি, ধাক্কাধাক্কি এমনকি মারামারিও বিরল কিছু নয়। এল ক্ল্যাসিকোর উত্তাপ যাকে বলে! রোববার রাতে সেই উত্তাপ আরও একবার দেখা গেল।
ম্যাচে রীতিমত ঠোকাঠুকি লেগে গেয়েছিল রিয়াল অধিনায়ক সার্জিও রামোস ও বার্সা অধিনায়ক লিওনেল মেসির। পরে রেফারির হস্তক্ষেপে শান্ত হয় পরিস্থিতি।
দোষটা অবশ্য রামোসেরই। রিয়াল অধিনায়কের যুদ্ধংদেহী মনোভাবের কথা মোটামুটি সবারই জানা। মাঝেমধ্যেই প্রতিপক্ষকে আঘাত করে কিংবা ইচ্ছে করে লাল কার্ড দেখার মতো কাণ্ডতে আলোচনায় আসেন রামোস।
এবার বলতে গেলে ইচ্ছে করেই মেসির মুখে হাত লাগিয়ে দিয়েছিলেন রামোস। তিনি ডিফেন্ডার, মেসি যেহেতু ফরোয়ার্ড; তাকে আটকানোর দায়িত্বটা তো রামোসেরই। কিন্তু এমনভাবেই কাজটা করেছেন রিয়াল অধিনায়ক, মেসিরও মেজাজ বিগড়ে গিয়েছিল।
প্রথমার্ধের শেষ সময়ের দিকের ঘটনা। রামোস ইচ্ছে করেই তার বাঁ হাতটা দিয়ে আঘাত করেন মেসির মুখে। বার্সা অধিনায়ক তাতে মাটিতে পড়ে যান। ততক্ষণে প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার বাঁশি রেফারি।
আঘাতটা বেশ জোরেই লেগেছিল বোধ হয়। ঠান্ডা মেজাজের মেসি রাগ হয়ে উঠে আসেন রামোসের দিকে। রামোসও দুঃখ প্রকাশ করেননি। উল্টো মাথা সামনে বাড়িয়ে দেন। দুজনের কপালে কপালে ঠুকোঠুকি শুরু হয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দৌড়ে আসেন রেফারি আলেজান্দ্রো হার্নান্দেজ হার্নান্দেজ। দুজনকে আলাদা করেন তিনি। যে অপরাধ করেছেন, রেফারি চাইলে রামোসকে লাল কার্ড দিতে পারতেন। কিন্তু সেটা করেননি। এবারের মতো বেঁচে যান দিন কয়েক আগে ইচ্ছে করে কার্ড দেখে দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ হওয়া রামোস।
এমএমআর/এমএস