পিএসজি এখন আর নেইমারের নয়, এমবাপের
নেইমারকে দিয়েই তাদের উচ্চস্তরে পথচলা শুরু। এরপর সেটা হয়ে গেলো নেইমার-কাভানি-এমবাপের দল। কিন্তু মঙ্গলবার রাতে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে কাইলিয়ান এমবাপে যা দেখালেন, তাতে প্যারিস সেন্ট জার্মেইকে (পিএসজি) আর অন্য কারো নয়, এমবাপের দল হিসেবেই পরিচিত হতে হবে। ফুটবল বোদ্ধারা অন্তত সেটাই বলে যাচ্ছেন এখন। মাদ্রিদ ভিত্তিক দৈনিক মার্কার এক রিপোর্টে উঠে এসেছে এমনটা।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডের প্রথম লেগে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে খেলতে এসেছিল পিএসজি। ইংলিশ জায়ান্টদের মাঠে খেলতে গিয়ে তাদেরকেই ২-০ গোলে হারিয়ে এসেছে পিএসজি। ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে এটা তাদের জন্য বিরল এক জয়।
আর্জেন্টাইন উইঙ্গার অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়ার সহযোগিতায় গোলদুটি এলেও দুর্দান্ত খেলেছেন কাইলিয়ান এমবাপে। পুরো ম্যাচেই বলতে গেলে একা তিনি ম্যানইউর ডিফেন্সকে তটস্থ করে রেখেছিলেন। নিজে একটি গোলও করেছেন অসাধারণ ক্ষিপ্রতায়।
বিশ্বকাপজয়ী এই ফুটবলার ইতিমধ্যেই নিজেকে বিশ্বের অন্যতম সেরা হিসেবে প্রমাণ করে ফেলেছেন। এবার একে একে অন্যদের ছাড়িয়ে যাওয়ার পালা। নিজ ক্লাবের ব্রাজিলিয়ান সুপার স্টার নেইমারকে তো ইতিমধ্যেই নিজের ছায়ার মধ্যে ঢেকে ফেলেছেন তিনি। এবার প্রমাণ করে দিলেন পিএসজি শুধুই এমবাপের ক্লাব।
ইনজুরির কারণে ম্যানইউর বিপক্ষে এই ম্যাচে খেলতে পারেননি পিএসজির অন্যতম দুই সেরা তারকা নেইমার এবং এডিনসন কাভানি। দুই তারকার অনুপস্থিতিতে পিএসজি যে দুর্বল হয়ে যাওয়ার কথা ছিল, তা নয়। তারা বরং, একা এক এমবাপের ওপর নির্ভর করেই জিতে এসেছে ম্যানইউর মত ক্লাবকে।
পুরো ম্যাচে অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া ছিলেন ম্যানইউ সমর্থকদের কেন্দ্রবিন্দুতে। তারা ডি মারিয়াকে দুয়ো ধ্বনি দিয়েছে, তাকে উদ্দেশ্য করে বাজিয়েছে হুইসেল। এমনকি বার বার তাকে অপমান করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু ডি মারিয়া হাসিমুখে সব কিছুরই জবাব দিলেন। দুই গোলে অবদান রেখে হারিয়েছেন ম্যানইউকে। এমনকি তাকে লক্ষ্য করে ছুঁড়ে মারা বোতল থেকে পানি খেয়ে নীরব প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
ম্যাচের শেষের দিকে এসে অ্যাসলে ইয়ং হলুদ কার্ড দেখেছেন এবং দু’বার লাল কার্ড দেখে মাঠ থেকে বহিস্কার হয়েছেন বিশ্বকাপজয়ী আরেক তারকা পল পগবা।
আইএইচএস/এমএস