ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

ম্যান সিটিকে বার্সা-বায়ার্নের মতো গড়তে চান গার্দিওলা

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৯:৩১ পিএম, ২৮ জানুয়ারি ২০১৯

ইংল্যান্ডে পাড়ি জমিয়ে কাটাচ্ছেন নিজের তৃতীয় মৌসুম। দুই মৌসুমের ভেতর রেকর্ডের পসরা সাজিয়ে জিতে ফেলেছেন লিগ শিরোপাও। ইংল্যান্ডে আসার আগে ছিলেন স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনা ও জার্মান ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখের কোচ। যেখানেই গিয়েছেন সেখানেই নিজের আলাদা ব্রান্ড ভ্যালু তৈরি করেছেন পেপ গার্দিওলা। এবার ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটিকেও বার্সেলোনা ও বায়ার্নের আদোলে গড়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন তিনি।

এফএ কাপের চতুর্থ রাউন্ডে বার্নলিকে ৫-০ গোলে হারিয়ে পঞ্চম রাউন্ডে উঠেছে সিটি। সিটিই একমাত্র ইংলিশ ক্লাব যারা এখনো মৌসুমের সম্ভাব্য চারটা শিরোপা জয়ের দাবিদার। কারাবাও কাপের ফাইনালে উঠেছে তারা, লিগেও রয়েছে শীর্ষে থাকা লিভারপুলের থেকে চার পয়েন্ট পেছনে, চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোতেও উঠেছে দলটি। কিন্তু সবকিছুকে ছাপিয়ে পেপ গার্দিওলার কাছে প্রশ্ন আসলো- সিটি কি আসলেই পারবে এতগুলো টুর্নামেন্ট জয়ের স্বাদ পেতে?

প্রশ্নের উত্তরে গার্দিওলা বললেন, ‘আমরা মাত্র জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে রয়েছে। আমরা এখনো দৌড়ে রয়েছি।’

চলতি শতাব্দীতে অজস্রবার লিগ জিতে আসছে ইউরোপের তিন পরাশক্তি জুভেন্টাস, বায়ার্ন মিউনিখ এবং বার্সেলোনা। নিজের ক্ষুরধার মস্তিষ্কে এই তিন ক্লাবকেই শতাব্দীর সেরা ক্লাব বললেন পেপ। সঙ্গে এও জানিয়ে দিলেন তাদের কাছাকাছিও হয়তো তিনি সিটিকে নিয়ে যেতে পারবেন না।

‘আমি অনেকবার বলেছি শতাব্দীদের সেরা ক্লাব হচ্ছে জুভেন্টাস, বায়ার্ন মিউনিখ ও বার্সেলোনা। ইউরোপে এই তিন ক্লাবই সেরা। কেন? প্রায় প্রত্যেক মৌসুমই তারা লিগ জিতছে সঙ্গে কাপও জিতছে। আমরা তাদের কাছাকাছিও যেতে পারবো না। কেননা এটা খুবই কঠিন। কিন্তু আমরা প্রতিশ্রুতি দিতে পারি, প্রতিযোগিতার শেষ পর্যন্ত আমরা যাব। মাঝে মাঝে আমরা ভাগ্যবান হই মাঝেমাঝে আমরা হই না।’

চারটি টুর্নামেন্টে প্রতিযোগিতা করার মাধ্যমে লিগে সিটির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বি লিভারপুলের থেকে বেশি ম্যাচ খেলতে হচ্ছে সিটিকে। লিগ শিরোপা জয়ের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ম্যাচ প্রেসার কিছুটা সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।

পেপ গার্দিওলা বলেন, ‘আমি খেলোয়াড়দের কোন ছুটি দিচ্ছি না। আমাদের অনেক ম্যাচ রয়েছে, তাই কোন উপায় নেই। আমি তাদেরকে এই পর্যায়ে বলতে পারি এটা আসলেই খুবই সম্মানের এতগুলো প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা।’

আরআর/এমএমআর/আরআইপি

আরও পড়ুন