শেষ মিনিটে সর্বনাশ শেখ জামালের
দুই ম্যাচ হারের পর এবার ড্র করলো শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। সোমবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শেষ মিনিটে গোল খেয়ে রহমতগঞ্জের সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করেছে সাবেক চ্যাম্পিয়নরা।
প্রথমার্ধের খেলা শেষ হয় ১-১ গোলে। শেখ জামালের গোল করেছেন গাম্বিয়ার সলোমন কিং ও আর্জেন্টিনার লুসিয়ানো। রহমতগঞ্জের গোলদাতা কঙ্গোর সিয়ো জুনাপিও ও নাইজেরিয়ার মানডে।
প্রথম দুই ম্যাচ হারা শেখ জামালের এ ড্র চরম হতাশার। পেনাল্টি মিস করেছে, ৯৪ মিনিট পর্যন্ত এগিয়ে থেকেও শেষ পর্যন্ত তা ধরে রাখতে পারেনি। তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ার প্রস্তুতি নেয়া দলটির সর্বনাশ হয় শেষ মিনিটে গোল খেয়ে।
৮ মিনিটে সিয়ো জুনাপিওর গোলে এগিয়ে যায় রহমতগঞ্জ। প্রায় মাঝমাঠ থেকে রবিউলের লম্বা পাস ধরে জুনাপিও জামালের ডিফেন্ডার আরিফুলকে কাটিয়ে বাম পায়ের শটে গোল করেন। ২০ মিনিটেই ম্যাচে ফিরতে পারতো জামাল। সলোমনের পাস ধরতে গেলে আর্জেন্টিনার লুসিয়ানো রহমতগঞ্জের নাইজেরিয়ান মানডের ফাউলের শিকার হন।
রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজালে সে সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি তিনবারের চ্যাম্পিয়নরা। সলোমন কিংয়ের নেয়া শট বাম দিকে ঝাপিয়ে রুখে দেন রহমতগঞ্জের গোলরক্ষক আরিফুল ইসলাম।
পেনাল্টি মিস করা সেই সলোমন কিং ৪০ মিনিটে দুর্দান্ত এক বাইসাইকেল কিকে সমতা আনেন। মাঝ বৃত্ত থেকে নেয়া ফ্রিকিক ডেভিডের মাথা হয়ে সলোমনের সামনে গেলে তিনি দর্শণীয় গোলটি করেন।
একাধিক সুযোগ নষ্ট করা আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড লুসিয়ানো দলকে এগিয়ে দেন ৭৩ মিনিটে। এবারও গোলের উৎস সলোমন কিং। এ গাম্বিয়ানের বাড়ানো বল ধরে গোল করেন লুসিয়ানো।
রেফারি আনিসুর রহমান সাগর যখন শেষ বাঁশি বাজাতে বারবার হাতের ঘড়ি দেখছিলেন, ঠিক তখনই হারতে যাওয়া ম্যাচ নাটকীয়ভাবে ড্র করে রহমতগঞ্জ। বাম দিক থেকে সিয়ো জুনাপিওর ক্রসে ডাইভিং হেডে সমতা আনেন নাইজেরিয়ান ডিফেন্ডার মানডে।
তিন ম্যাচে রহমতগঞ্জের পয়েন্ট ২, শেখ জামালের ১। রহমতগঞ্জ প্রথম ম্যাচে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের কাছে ১-০ গোলে হেরে দ্বিতীয় ম্যাচে ১-১ গোলে ড্র করেছিল চট্টগ্রাম আবাহনীর সঙ্গে। শেখ জামাল প্রথম ম্যাচে বসুন্ধরা কিংসের কাছে ১-০ গোলে ও দ্বিতীয় ম্যাচে মুক্তিযোদ্ধার কাছে ৩-০ গোলে হারের পর প্রথম পয়েন্টের মুখ দেখলো।
আরআই/এমএমআর/পিআর