কেঁদে মাঠ ছাড়া নেইমার হাসপাতালে
নেইমার অকারণে মাঠে গড়াগড়ি খান, এমন অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। খোদ স্বদেশি কিংবদন্তি পেলেও নেইমারের এমন আচরণের সমালোচনা করেছেন। পিএসজি ফরোয়ার্ড তাই বোধ হয় ফাউল হওয়ার পরও এখন সেভাবে প্রতিবাদ করছেন না। সেই সুযোগটাই যেন নিলেন স্ট্রাসবুর্গের মিডফিল্ডার মোয়াতাজ জেমজেমি।
বুধবার রাতে তিন তিনবার নেইমারকে দৃষ্টিকটু ফাউল করলেন জেমজেমি। এর মধ্যে মাত্র একবার ফ্রি-কিক দিয়েছিলেন রেফারি জোহান হামেল। ম্যাচে বারবার বাধার মুখে পড়া নেইমার ৬০ মিনিটের সময় পড়লেন সেই পুরনো পায়ের পাতার চোটে। যে চোট বিশ্বকাপের আগে তিন মাস মাঠের বাইরে রেখেছিল ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টারকে।
এবারও শক্ত আঘাতই পেয়েছেন। মাঠ ছেড়েছেন কাঁদতে কাঁদতে। তারপর নেইমারকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে হাসপাতালে। এখন পর্যন্ত তার অবস্থা কি জানেন না পিএসজির কোচ থমাস টাচেলও।
তবে খুব একটা ভালো যে নয়, নেইমারের চেহারা দেখেই আন্দাজ করতে পেরেছেন টাচেল। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, 'না, আমি নেইমারের সঙ্গে কথা বলতে পারিনি। কারণে সে এখন হাসপাতালে। আর হ্যাঁ, আমি অবশ্যই উদ্বিগ্ন। এটা সবসময়ই জটিল ব্যাপার, যখন আপনি একই পায়ে ব্যথা পাবেন। ঠিক সেই মেটাটারসালেই (২০১৮ সালের শুরুতে যে চোটে পড়েছিলেন)।'
এদিকে, টাচেলের ওই সংবাদ সম্মেলনের পর ক্লাবের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি দেয়া হয়েছে। যেখানে লেখা হয়েছে, 'প্রাথমিকভাবে পরীক্ষায় দেখা গেছে, তার ডান পায়ের পঞ্চম মেটাটারসালে আবারও শক্ত ব্যথা হয়েছে। এই চোটের চিকিৎসা নির্ভর করছে, আগামী কয়েকদিনে কি অবস্থা হয় সেটার উপর। এই মুহূর্তে সামনে তাকিয়ে ছাড়া আর উপায় নেই।'
এমএমআর/জেআইএম