স্বস্তির জয়ে শীর্ষে বার্সা
রিয়াল বেটিসের বিপক্ষে হার ও অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে ড্র করে পাঁচ পয়েন্ট হারিয়েছিল বার্সেলোনা। যে কারণে তাদের পেছনে ফেলে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান দখল করেছিল সেভিয়া।
তবে বেশিদিন সেভিয়াকে উপরে থাকতে দিল না স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়নরা। ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে ২-০ গোলের স্বস্তির জয়ে শীর্ষস্থান পুনরুদ্ধার করেছে আর্নেস্ত ভালভার্দের দল।
ঘরের মাঠে ঠিক বার্সেলোনাস্বরুপ খেলতে পারেননি লিওনেল মেসি, ফিলিপে কৌতিনহোরা। নিয়মিত ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতার দিনে দলের জয়ে গোল দুইটি করেছেন জেরার্ড পিকে ও কার্লস এলেনা। তবে দুর্দান্ত খেলেছে আর্তুরো ভিদাল এবং ওসুমানে দেম্বেলে।
ম্যাচের শুরু থেকেই প্রতিপক্ষের রক্ষণসীমায় বারবার হানা দিলেও জোরালো আক্রমণ করতে পারেনি বার্সেলোনা। ম্যাচের অষ্টম মিনিটে প্রথম বলার আক্রমণ করে তারা। তবে সে যাত্রায় লিওনেল মেসির শট ঝাপিয়ে পড়ে ঠেকিয়ে দেন ভিয়ারিয়াল গোলরক্ষক। মিনিট পাঁচেকবাদে জেরার্ড মোরেনোর শট পোস্টে লেগে ফিরলে বেঁচে যায় বার্সেলোনা।
৩৬তম মিনিটে প্রথম গোলটি পায় বার্সেলোনা। ফরাসি ফরোয়ার্ড দেম্বেলের ক্রস থেকে মাথা ছুঁইয়ে দলকে এগিয়ে দেন স্প্যানিশ ডিফেন্ডার পিকে। এর আগে ফ্রি কিক থেকে সরাসরি গোলরক্ষকের হাতে শট করে বসেন মেসি।
অগোছালো আক্রমণ ও ছন্দহীন খেলায় ১-০ ব্যবধানেই ম্যাচ শেষের পথে এগিয়ে যাচ্ছিলো। ঠিক তখনই দৃশ্যপটে হাজির বদলি হিসেবে নামা এলেনা।
ম্যাচ শেষ হওয়ার মিনিট তিনেক আগে মেসির সাথে দারুণ বোঝাপড়ায় ব্যবধান দ্বিগুণ করেন স্প্যানিশ এ মিডফিল্ডার। ডি-বক্সে ঢুকে তার করা চিপশট ভিয়ারিয়াল গোলরক্ষকের হাতে লেগে ঢুকে যায় জালে। দুই গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে কাতালুনিয়ানরা।
দিনের অন্য ম্যাচে লেগানেসের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করে বার্সেলোনার শীর্ষস্থান নিশ্চিত করে সেভিয়া। ১৪ ম্যাচ শেষে ৮ জয় ও ৪ ড্রতে বার্সেলোনার সংগ্রহ ২৮ পয়েন্ট। সমান ম্যাচে ৮ জয় ও ৩ ড্র নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে সেভিয়া।
৭ জয়ের সাথে ২ ড্রয়ে পাওয়া ২৩ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের পঞ্চম স্থানে রয়েছে বার্সেলোনার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদ।
এসএএস/এমকেএইচ