একই সঙ্গে ইনজুরিতে নেইমার-এমবাপে, শঙ্কায় পিএসজি
এ কারণেই সম্ভবত ইউরোপিয়ান ক্লাব আন্তর্জাতিক বিরতিতে জাতীয় দলগুলোর জন্য তাদের খেলোয়াড়দের ছাড়তে চায় না। হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে তারা এক একজন ফুটবলারের পেছনে। অথচ, গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগেই কি না আন্তর্জাতিক ফুটবল খেলতে গিয়ে ইনজুরিতে পড়ে যায় সেই ফুটবলাররা। তখন সামনে থাকা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটি সংশ্লিষ্ট ক্লাবের জন্য হয়ে পড়ে খুবই কঠিন।
এমন অবস্থা যদি হয় যে, বিশ্বের সবচেয়ে দামি দুই খেলোয়াড়কে নিয়ে একটি দল পরের ম্যাচের জন্য পরিকল্পনা সাজাচ্ছে আর সেই দুই ফুটবলার জাতীয় দলের হয়ে খেলতে গিয়ে একসঙ্গে পড়ে গেলেন ইনজুরিতে, তখন বিষয়টা কেমন হয়?
ঠিক এই অবস্থার মুখোমুখি এখন ফরাসী ক্লাব পিএসজি। বিশ্বের সবচেয়ে দামি দুই খেলোয়াড় এই মুহূর্তে পিএসজিতে। নেইমার জুনিয়র এবং কাইলিয়ান এমবাপে। এই দু’জনই পিএসজির সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য বড় আশা-ভরসার প্রতীক। কিন্তু আন্তর্জাতিক ফুটবলের বিরতিতে গিয়ে এক রাতেই ইনজুরিতে পড়েছেন এই দুই ফুটবলার।
২৯ তারিখ চ্যাম্পিয়ন্স লিগে লিভারপুলের বিপক্ষে পিএসজির গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ রয়েছে। এই ম্যাচের আগে এমন দু’জন ফুটবলারের ইনজুরিতে পড়ে যাওয়াটা খুব চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে পিএসজির জন্য।
ক্যামেরুনের বিপক্ষে ম্যাচের সাত মিনিটের সময় ইনজুরিতে পড়ে মাঠ ছাড়েন নেইমার। একটি শট নিতে গিয়ে গ্রোইনে টান লাগে নেইমারের। তবে তিনি কতদিন মাঠের বাইরে থাকবেন, সেটা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি।
উরুগুয়ের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ খেলতে নেমে ইনজুরির শিকার হন কাইলিয়ান এমবাপে। ম্যাচের ৩৬ মিনিটের সময় ইনজুরির শিকার হন তিনি। ট্যাগাই এমডোম্বেলে উরুগুয়ে ডিফেন্সের মুখে একটি পাস বাড়িয়ে দেন। সেখানে ছিলেন কাইলিয়ান এমবাপে। তিনি যেন বল ধরতে না পারেন সে জন্য উরুগুয়ে গোলরক্ষক মার্টিন কাম্পানা লাফ দিয়ে বলটি ধরতে যান। এমবাপেও লাফ দিয়ে উঠেছিলেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে নিজের নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেননি আর। যার ফলে মাটিতে পড়েন তিনি বেকায়দায়। যে কারণে কাঁধে খুব বেশি আঘাত পেয়ে যান তিনি।
আইএইচএস/জেআইএম