খেললেন, গোল করলেন, সিক্স প্যাক দেখালেন এবং হারলেন
চোখ জুড়িয়ে যাওয়ার মতো এক গোল! সাবেক ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে রোনালদোকে এতটা উচ্ছ্বসিত দেখা যায়নি রিয়াল মাদ্রিদে থাকার সময়, জুভেন্টাসের হয়ে গত রাতে গোল করে যতটা উচ্ছ্বাস দেখালেন।
দেখাবেনই বা না কেন! জুভেন্টাসে আসার পর সিরিআতে ৭টি গোল পেয়েছেন। কিন্তু চ্যাম্পিয়নস লিগে 'ডাক' ভাঙতে পারছিলেন না। অবশেষে সেটা ভাঙলেন নিজেরই সাবেক ক্লাবের বিপক্ষে। দুর্দান্ত এক গোলে। ম্যানইউর ১৮ গজ বক্সের মধ্যে পর্তুগিজ যুবরাজের ভলিটি টাইমলাইনে বাঁধিয়ে রাখার মতো।
গোলের পর উদযাপনটাও ছিল দেখার মতো। দৌঁড়ে গিয়ে দর্শকদের দিকে মুখ করে নিজের জার্সিটা একটু উপরে তুললেন, দেখালেন সিক্স প্যাক। তবে দুঃখের বিষয় হলো, এই উচ্ছ্বাসটা বিষাদে রূপ নিতে সময় নেয়নি রোনালদোর। দল যে যে শেষতক হেরে গেছে ২-১ গোলে!
উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে দুই দলের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে। ম্যাচের ৬৫ মিনিটে এগিয়ে যায় ঘরের মাঠের জুভেন্টাস। লিওনার্দো বোনাচ্চির উঁচু করে বাড়িয়ে দেয়া বল দৌঁড়ের মধ্যে থেকেই ডান পায়ের দুর্দান্ত ভলিতে জালে জড়িয়ে দেন রোনালদো। গোলরক্ষক ডেভিড দি গিয়া নড়াচড়া করার সময়ই পাননি।
জুভেন্টাসের এই গোলের উচ্ছ্বাস মিইয়ে যায় ম্যাচের ৮৬তম মিনিটে। বদলি হিসেবে নামা হুয়ান মাতা অসাধারণ এক ফ্রি-কিকে দলকে সমতায় ফেরান।
কপাল খারাপ হলে যা হয় আর কি! ৮৬ মিনিট পর্যন্ত এগিয়ে থাকা জুভেন্টাসই শেষপর্যন্ত হারের মুখ দেখে আত্মঘাতী এক গোলে। ম্যাচের ৮৯ মিনিটে মাতার ফ্রি-কিক গোলরক্ষক ভয়চেখ স্ট্যাসনি ঠেকিয়েই দিয়েছিলেন। ফিরতি বল গোলমুখে বোনুচ্চির মাথায় লাগার পর আলেক্স সান্দ্রোর গায়ে লেগে ভিতরে ঢুকে যায়। এতেই চলতি মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে জুভেন্টাসের অপরাজিত থাকার রেকর্ডটি ভেঙেছে।
এই ম্যাচে জিতলে চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ১৬ নিশ্চিত হয়ে যেত জুভদের। হারের ফলে আরেকটি ম্যাচ অপেক্ষা বাড়ল তুরিন জায়ান্টদের। আর জিতে শেষ ষোলোর আশা বাঁচিয়ে রাখল ম্যানইউ।
'এইচ' গ্রুপে ৯ পয়েন্ট নিয়ে জুভেন্টাস শীর্ষে আছে। ৭ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। তৃতীয় অবস্থানে থাকা ভ্যালেন্সিয়ার পয়েন্ট ৫ আর ১ পয়েন্ট নিয়ে তলানিতে ইয়ং বয়েজ।
এমএমআর/জেআইএম