মেসিকে হারানোর ম্যাচে বার্সার বড় জয়
ম্যাচের ১৭ মিনিটের মাথায়ই মাঠ ছাড়লেন লিওনেল মেসি। সবাইকে দুশ্চিন্তায় ফেলে, হাতে ব্যান্ডেজ নিয়ে। দুশ্চিন্তায় পড়ার মতোই খবর, আর্জেন্টাইন খুদেরাজের ডান হাতে চিড় ধরা পড়েছে। তিন সপ্তাহ তিনি মাঠে ফিরতে পারবেন না।
তবে ম্যাচের প্রথম দিকেই মেসিকে হারালেও সেভিয়ার বিপক্ষে ৪-২ গোলের বড় জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে বার্সেলোনা। এই জয়ে লা লিগা পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে জায়গা করে নিয়েছে আরনেস্তো ভালভার্দের দল।
শুরুতেই গোল বার্সেলোনার। দ্বিতীয় মিনিটে ডি বক্সের মধ্যে বল পেয়ে ডান পায়ের দারুণ শটে জাল কাঁপান ব্রাজিলের ফিলিপ কৌতিনহো। বলের যোগানদাতা ছিলেন মেসি।
১২ মিনিটের মাথায় মেসি নিজেই করেন এক গোল। মাঝমাঠ থেকে একাই বল বক্সের মধ্যে টেনে নিয়ে বাঁ পায়ের বুলেট শটে সেভিয়া গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন আর্জেন্টাইন খুদে জাদুকর।
২-০ গোলে এগিয়ে থাকা বার্সা তখন হাওয়ায় ভাসছে। এরই মধ্যে ১৬ মিনিটের মাথায় মেসির পা থেকে বল নিতে গিয়ে তাকে ধাক্কা দিয়ে বসেন প্রতিপক্ষ মিডফিল্ডার ফ্রাঙ্কো ভাজকুয়েজ। সঙ্গে সঙ্গেই মাটিতে পড়ে যান বার্সা সুপারস্টার, গড়াগড়ি দিচ্ছিলেন।
অবস্থা খারাপ দেখে মাঠে ঢুকেন ফিজিও। মেসিকে সাইডলাইনের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়। হাতে দেয়া হয় ব্যান্ডেজ। এরপর হাতটা চেপে ধরে মাঠ ছাড়েন বার্সা ফরোয়ার্ড। তার বদলে মাঠে নামেন উসমান ডেম্বেলে।
৬৩ মিনিটের মাথায় গোলরক্ষক ভাচলিককে একা পেয়ে গিয়েছিলেন লুইস সুয়ারেজ। দৌঁড়ে এসে সেভিয়া গোলরক্ষক ফেলেই দেন সুয়ারেজকে। পেনাল্টি পায় বার্সা। সুযোগ কাজে লাগাতে ভুল করেননি উরুগুইয়ান স্ট্রাইকার।
৭৯ মিনিটে এসে আত্মঘাতী গোলে ব্যবধান কমায় সেভিয়া। প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে পাবলো সারাবিয়ার শট বার্সার এক ডিফেন্ডারের মাথায় লেগে জড়িয়ে যায় জালে। এক গোল শোধ করে মরিয়া হয়ে আরও কয়েকটি আক্রমণ করে সেভিয়া। তবে বার্সা গোলরক্ষক টার স্টেগান কয়েকটি নিশ্চিত সুযোগ রুখে দেন অবিশ্বাস্যভাবে।
ম্যাচের ৮৮ মিনিটে আরও এক গোল করে বার্সা। এবার গোলদাতা ইভান রাকিতিচ। বক্সের একদম শেষ প্রান্ত থেকে তার ডান পায়ের শট ডানদিকে ঝাঁপিয়ে পড়েও ফেরাতে পারেননি সেভিয়া গোলরক্ষক। আর অতিরিক্ত সময়ের প্রথম মিনিটে এসে হারের ব্যবধান আরও একটু কমান সেভিয়ার লুইস মুরেল।
এমএমআর/আরআইপি