ব্রাজিলের হয়ে নেইমারের অন্যরকম সেঞ্চুরি
ব্রাজিলিয়ান সুপার স্টার নেইমার ডি সিলভা জুনিয়রের নেয়া কর্নার কিক থেকেই মঙ্গলবার রাতে ম্যাচের ইনজুরি সময়ে আর্জেন্টিনার জালে হেড করে বল জড়ান মিরান্ডা। বাম পাশ থেকে নেয়া কর্নার কিকটি এতটাই নিখুঁত ছিল যে, সহজেই তা মিরান্ডার মাথা খুঁজে পায়। এর আগে ৯২ মিনিট ব্রাজিলের মুহূর্মুহু আক্রমণ ঠেকিয়ে রাখা আর্জেন্টিনা ডিফেন্স এবার আর পারেনি মিরান্ডাকে রুখতে। নেইমারের শট খুঁজে নিয়ে অসাধারণ হেড করলেন। মুহূর্তেই যায় জড়িয়ে যায় আর্জেন্টিনার জালে।
মিরান্ডাকে গোল তৈরি করে দিয়ে ব্রাজিলের হয়ে অনন্য এক রেকর্ড গড়ে ফেললেন নেইমার। নাম লেখানে অন্যরকম এক সেঞ্চুরির খাতায়। এ নিয়ে ৫ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দেশটির হয়ে মোট ১০০টি গোলে অবদান রাখার রেকর্ড গড়লেন পিএসজির এই তারকা ফুটবলার।
আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ম্যাচে সেরা খেলোয়াড়ও ছিলেন নেইমার। সবচেয়ে বেশি ১০৩বার বলে স্পর্শ করেছেন তিনি। গোলের সুযোগ তৈরি করেছেন ৫টি। তাকে ফাউল করা হয়েছে ৮বার এবং মোট ৭টি ড্রিবলিং কমপ্লিট করেছেন তিনি।
ক্লাব ফুটবলের ব্যস্ততার মাঝে আন্তর্জাতিক ফুটবলের বিরতিতে অন্তত তিন গোলে অবদান রাখেন নেইমার। সৌদি আরবের বিপক্ষে আগের ম্যাচে ব্রাজিল জিতেছিল ২-০ গোলের ব্যবধানে। ওই ম্যাচে নেইমার ২ গোলেরই ছিলেন জোগানদাতা। পরের ম্যাচে, মঙ্গলবার সুপার ক্ল্যাসিকোয় আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ব্রাজিলের করা একামাত্র গোলেও অ্যাসিস্ট ছিল নেইমারের।
ব্রাজিলের হয়ে এখনও পর্যন্ত প্রতিপক্ষের জালে মোট ৫৯বার বল জড়িয়েছেন নেইমার। অথ্যাৎ তার কাছ থেকে প্রত্যক্ষ গোল এসেছে ৫৯টি। আর বাকি ৪১টি করেছেন সরাসরি গোলে সহযোগিতা। অন্যকে দিয়ে গোল করানো। অর্থ্যাৎ, পরোক্ষ গোল।
শুধু ১০০টি গোলে অবদান রাখাই নয়, একই সঙ্গে ফুটবল সম্রাট পেলেকেও ছাড়িয়ে গেছেন নেইমার। অবশ্যই পেলেকে ছাড়িয়ে গেছেন, সৌদি আরবের বিপক্ষে খেলা আগের ম্যাচেই। ব্রাজিলের হয়ে ফুটবল সম্রাদ যখন জার্সিটা তুলে রাখার ঘোষণা দেন, তখন তিনি খেলেছিলেন ৯২টি ম্যাচ। নেইমার খেলে ফেলেছেন তার চেয়েও দুটি বেশি। অথ্যাৎ এখন তার নামের পাশে শোভা পাচ্ছে ৯৪টি ম্যাচ।
যদিও ম্যাচ খেলার দিক থেকে ব্রাজিলের হয়ে এখনও শীর্ষস্থান থেকে অনেক দুরে রয়েছেন নেইমার। তিনি এখন রয়েছেন ১০ম স্থানে। তার আগে ১৪২ ম্যাচ খেলে ব্রাজিলের হয়ে সর্বোচ্চ স্থানে অবস্থান করছেন সাবেক অধিনায়ক কাফু। যার নেতৃত্বে সর্বশেষ ২০০২ সালে বিশ্বকাপ জিতেছিল ব্রাজিল। রবার্তো কার্লোস ১২৫, দানি আলভেজ ১০৭, লুসিও ১০৫, ক্লদিও তাফারেল ১০১, রবিনহো ১০০, ডালমা সান্তোস এবং রোনালদো ৯৮টি করে, রোনালদিনহো ৯৭টি করে ম্যাচ খেলেছেন। নেইমারের সমান ৯৪ ম্যাচ খেলেছেন গিলমারও।
১০০ গোলে অ্যাসিস্ট করলেও গোল করার দিক থেকে এখনও পেলে-রোনালদোদের পেছনে নেইমার। তিনি করেছেন ৫৯ গোল। যদিও তার অবস্থান এখন তিন নম্বরে। বিশ্বকাপজয়ী রোনালদো করেছেন ৬২টি। তিনি রয়েছেন দুই নম্বরে এবং কিংবদন্তি গ্রেট পেলে করেছেন ৭৭ গোল। ব্রাজিলের হয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতা কিন্তু পেলে’ই।
আইএইচএস/জেআইএম