‘ফুটবলারদের টাকার লোভটা বেশি’
অনুষ্ঠান ছিল সাফ অনুর্ধ্ব-১৮ চ্যাম্পিয়ন হওয়া মেয়েদের নিয়ে। পূর্ব প্রতিশ্রুতি মোতাবেক ওয়ালটন দলকে দিয়েছে সংবর্ধনা, ২৩ ফুটবলারকে দিয়েছে একটি করে রেফ্রিজারেটর। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন।
বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ আর্ন্তজাতিক ফুটবল শেষ হওয়ার পর বাফুফে সভাপতি প্রথম মিডয়ার সামনে। টুর্নামেন্ট নিয়ে কথা বললেন দেশের ফুটবলের শীর্ষ এ কর্মকর্তা। আগের চারটি ছাপিয়ে এবারের বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ছিল সবচেয়ে সফল- বাফুফে সভাপতি দিলেন সেই সনদ। কারণ, এই প্রথম সব দেশের জাতীয় দল অংশ নিয়েছে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে। স্বাভাকিবভাবেই তৃপ্তির ঢেকুর কাজী মো. সালাউদ্দিনের।
আয়োজনের পাশপাশি দল হিসেবেও ভালো খেলেছে বাংলাদেশ। প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল সেমিফাইনাল। সে লক্ষ্য পূরণ হয়েছে। বাংলাদেশ আরো ভালো করতে পারতো; কিন্তু ভালো খেলেও আর সামনে এগুতে পারেনি। কারণ একটাই- গোল করার কেউ নেই বাংলাদেশ দলে। এবার ঘরোয়া ফুটবলে এশিয়ান কোটার একজনসহ বিদেশি ৪ জন। তাতে স্থানীয় ফরোয়ার্ডদের খেলার সুযোগ কমবে এটাই স্বাভাবিক। অনেকে মনে করেন, এমন সিদ্ধান্তে দেশে স্ট্রাইকার সংকট বাড়বে। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে জাতীয় দলে।
বিদেশি কোট বাড়ানোর ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বাফুফে সভাপতি বলেছেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমিও চেয়েছিলাম বিদেশি কোটা কম রাখতে। কিন্তু ক্লাবগুলো ফিফা-এএফসির নিয়ম অনুযায়ী বিদেশি কোটা দাবি করায় আমরা একজন এশিয়ানসহ ৪ জন বিদেশি করেছি।’
স্থানীয়দের খেলার সুযোগ প্রসঙ্গে কিংবদন্তী এই ফুটবলার বলেন, ‘সুযোগ কেউ কাউকে দেয় না, আদায় করে নিতে হয়; কিন্তু আমাদের ফুটবলাররা বড় ক্লাবে যায়, বসে থাকে বেঞ্চে। তারা একবারও টাকার চিন্তা বাদ দিয়ে খেলার সুযোগ পাবে এমন ক্লাবে যায় না। যখন খেলতে পারে না তখন মধ্যবর্তী দলবদলের সময়ও ক্লাব পাল্টাতে পারে; কিন্তু পাল্টায় না। আসলে ফুটবলারদের টাকার লোভটা বেশি।’
নিজের ক্যারিয়ারের প্রসঙ্গ টেনে বাফুফে সভাপতি বলেন, ‘আমি যে বছর প্রথম মোহামেডানে যাই, অনেকে বলেছিলেন ভুল করলে, খেলার সুযোগ পাবে না। আমি বলেছিলাম, সুযোগ তৈরি করতে না পারলে খেলবো না। চার ম্যাচ বসে ছিলাম। প্রথম সুযোগ পেয়েই ২ গোল করি। তারপর কোনো দিন বসে থাকিনি। সবাইকে নিজের জায়গাটা তৈরি করে নিতে হবে।’
বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে জাতীয় দলের পারফরম্যান্সকে তিনি অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে ভালো উল্লেখ করে কাজী সালাউদ্দিন বলেছেন, ‘এখানে সব দেশই জাতীয় দল পাঠিয়েছিল। যারা র্যাংকিংয়ে আমাদের চেয়ে অনেক এগিয়ে। তাদের বিরুদ্ধে আমাদের ছেলেরা ভালো ফুটবল খেলেছে। শুধু আমরা গোলই করতে পারিনি। বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের শেষ দুটি ম্যাচে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স অসাধারণ ছিল।’
আরআই/আইএইচএস/