সৌদি আরবকে অনায়াসে হারাল ব্রাজিল
আর চারদিন পর সৌদি আরবের মাটিতে বসতে যাচ্ছে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা মহারণ। তার আগে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে নিজেদেরকে ভালোভাবেই ঝালিয়ে নিয়েছে দুই লাতিন পাওয়ার হাউজ। আগেরদিন ইরাককে ৪-০ গোলে হারিয়েছিল আর্জেন্টিনা। পরেরদিন সৌদি আরবের মুখোমুখি হয়ে স্বাগতিকদের ২-০ গোলে হারিয়েছে ব্রাজিল।
জেদ্দার কিং সৌদি ইউনিভার্সিটি স্টেডিয়ামে প্রায় ২৫ হাজার দর্শকের সামনে ব্রাজিল জিতলেও মন ভরানোর মত কোনো ফুটবল উপহার দিতে পারেনি ব্রাজিলিয়ানরা। যদিও এমন প্রীতি ম্যাচেও লাল কার্ড বের করতে হয়েছিল রেফারিকে। খেলা শেষ হওয়ার ৫ মিনিট আগে স্বাগতিক সৌদি আরবের গোলরক্ষক মোহাম্মদ আল ওয়াইসকে লাল কার্ড দেখিয়ে মাঠ থেকে বের করে দেন রেফারি। অপরাধ ছিল, ভিএআরের মাধ্যমে দেখা যায়, বক্সের বাইরে গিয়ে বল ধরেছিলেন আল ওয়াইস।
ব্রাজিলের হয়ে দুই অর্ধের শেষ ভাগে এসে গোল দুটি করেন গ্যাব্রিয়েল হেসুস এবং আলেক্স সান্দ্রো। ব্রাজিল একেবারে বাজে পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছিল। সৌদি আরবের বিপক্ষে আগের চারবারের দেখায় ১৬ গোল করেছিল ৫ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। কিন্তু এই ম্যাচে আগের খেলাগুলোর ছিটেফোটাও দেখাতে ব্যর্থ হয় নেইমাররা। বিশেষ করে ব্রাজিলের মিডফিল্ড ছিল একেবারেই নড়বড়ে।
দুর্বল পারফরম্যান্স প্রদর্শণ করলেও ম্যাচের স্কোরলাইনই বলে দিচ্ছে সৌদি আরবের চেয়ে ভালো দল ছিল ব্রাজিলই। বিশেষ করে সেলেসাওদের হয়ে দুর্দান্ত খেলেছেন গ্যাব্রিয়েল হেসুস। প্রথমার্ধেই মোটামুটি ভালো খেলেছিল তিতের শিষ্যরা। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার ২ মিনিট আগে (৪৩ মিনিট) নেইমারের অসাধারণ এক পাস ধরে দুরহ এক কোন থেকে শট করে সৌদি আরবের রক্ষণের তালা খোলেন হেসুস।
দ্বিতীয়ার্ধে সৌদি আরব চেষ্টা করেছিল গোলটা পরিশোধ করার। যদিও তাদের চেষ্টাগুলো সবই থমকে দাঁড়িয়েছিল ব্রাজিলের রক্ষণের অনেক আগেই। ব্রাজিলও পারেনি গোল করতে। তবে লম্বা অতিরিক্ত সময় পেয়ে গোল করে বসে ব্রাজিল। ৯০ + ৬ মিনিটে নেইমারের কর্নার কিক থেকে ভেসে আসা বলে হেড করে সৌদি আরবের জালে বল জড়ান আলেক্স সান্দ্রো।
ম্যাচ শেষে ব্রাজিল ফুটবলার সান্দ্রো বলেন, ‘এই ম্যাচের মধ্য দিয়ে আমাদের আরও সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। সামনে আরও ভালো করতে হলে এর চেয়ে ভালো খেলা খুবই জরুরি।’
তবে সান্দ্রো আবহাওয়ার বৈরিতার কথাও বলে দিলেন শুরুতে। তিনি বলেন, ‘অবশ্যই আবহাওয়া খুব প্রভাব ফেলেছে। আমাদের দলে অনেক নতুন খেলোয়াড় আছে। যাদের প্রয়োজন এই পরিবেশে নিজেদের মানিয়ে নেয়া। তবে আমরা অবশ্যই ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য।’
আইএইচএস/এমএস