বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে জাতীয় দলের নিশ্চয়তা দিয়েছে দেশগুলো
১৯৯৬ সালে প্রথম বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের ফাইনাল খেলেছিল মালয়েশিয়া অনূর্ধ্ব-২৩ দল ও ইন্দোনেশিয়ার প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব পিএসএম মাকাসার। তিন বছর পর দ্বিতীয় আসরের জাপান লিগ একাদশ নামের একটি দলের সঙ্গে ফাইনাল খেলেছিল ঘানা অনূর্ধ্ব-২৩ দল। ২০১৫ সালে বাংলাদেশের সঙ্গে ফাইনাল খেলেছিল মালয়েশিয়া অনূর্ধ্ব-২৩ দল। সর্বশেষ আসরের ফাইনালে নেপালের প্রতিপক্ষ ছিল বাহরাইন অনূর্ধ্ব-২৩ দল।
জাতির জনকের নামের এই ফুটবল টুর্নামেন্টের দল নিয়ে অনেকে প্রশ্নও তুলেছেন। তোলাও স্বাভাবিক। যে কারণে, পঞ্চম আসরে যাতে দেশগুলো জাতীয় দলই পাঠায় তা নিয়ে আগে থেকেই তৎপর বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। তাই আগামী ১ অক্টোবর শুরু হতে যাওয়া ৬ জাতির টুর্নামেন্টে দেশগুলো তাদের জাতীয় দলই পাঠাবে সে নিশ্চয়তা নিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন।
অনেক দেশ জাতীয় দল পাঠায় না। তাতে টুর্নামেন্টের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠে। এবার কী সব দেশের জাতীয় দল পাঠাবে? প্রশ্ন করতেই বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ বললেন, ‘এবার সব দেশই জাতীয় দল পাঠাবে। এ টুর্নামেন্টের বিষয়ে ফিফাও অবগত। বিশ্ব ফুটবলের অভিভাবক সংস্থাও জানে সব দেশ তাদের জাতীয় দল পাঠাবে। এর ব্যাত্যয় ঘটলে তারা নিশ্চয় বিষয়টি দেখবে।’
বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের ৬ দেশের মধ্যে ফিফা র্যাংকিংয়ে এগিয়ে ফিলিস্তিন। মধ্য প্রাচ্যের এ দেশটির অবস্থান এখন ১০০ নম্বরে। তারপরই ১১৪ র্যাংকিং ফিলিপাইনের। তাজিকিস্তানের ফিফা র্যাংকিং ১২০, গতবারের চ্যাম্পিয়ন নেপালের ১৬০, লাওসের ১৭৯ এবং সবার নিচে বাংলাদেশ ১৯৩ নম্বরে। র্যাংকিংয়ের মাপকাঠিতে টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ খেলবে আন্ডারডগ হিসেবেই।
ফিলিস্তিন সাম্প্রতি আন্তর্জাতিক ফুটবলে দারুণ খেলছে। সর্বশেষ ১০ আন্তর্জাতিক ম্যাচে ফিলিস্তিন জিতেছে ৪টিতে। এর মধ্যে তিনটি জয় আছে ১০-০, ৮-১, ৭-০ ব্যবধানে। পাঁচ ম্যাচ ড্র করে শুধু একটি হেরেছে ইরাকের কাছে। দেশটির বর্তমান জাতীয় দলের ৬ জন খেলেন সুইডেন, মরোক্কো, চিলি, মিসরসহ বিভিন্ন দেশের লিগে।
শিরোপা জয়ের স্বপ্ন নিয়ে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে আসছে ফিলিপাইন। ফিফা র্যাংকিংয়ে ১১৪ তম স্থানে থাকা দেশটি আছে বাংলাদেশের সঙ্গে ‘বি’ গ্রুপে। ১৯৯১ এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে সিউলে বাংলাদেশ ৮-০ গোলে জিতেছিল ফিলিপাইনের বিপক্ষে। সেই দল এখন বিশ্বের ১১৪তম, বাংলাদেশ ১৯৩তম। তারা খেলে এশিয়ান কাপ, বাংলাদেশ পড়ে আছে দক্ষিণ এশিয়ার গন্ডিতে।
ফিফা র্যাংকিংয়ে ১২০ নম্বরে আছে তাজিকিস্তান। তাজিকদের কাছে বাংলাদেশ দ্বিতীয় হোম ভেন্যুর মতো। সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সও তাদের ভালো। সর্বশেষ ১০টি আন্তর্জাতিক ম্যাচের চারটি জিতেছে, চারটি হেরেছে এবং ড্র দুটি। দেশটির বর্তমান জাতীয় দলের সাতজন খেলেন রাশিয়া, তুর্কমেনিস্তান, উজবেকিস্তান, কিরগিজস্তান, ইন্দোনেশিয়া, মালদ্বীপ লিগে। চারজনের আছে জাতীয় দলের জার্সিতে পঞ্চাশ বা ততোধিক ম্যাচ খেলার রেকর্ড।
বাংলাদেশের গ্রুপের আরেক প্রতিপক্ষ লাওস র্যাংকিংয়ে এগিয়ে থাকলেও খুব কাছাকাছি ১৭৯। গত ২৭ মার্চে ভিয়েনতিয়েনে লাওসের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে ০-২ গোলে পিছিয়ে পড়েও ড্র (২-২) করেছিল অ্যান্ড্রু ওর্ডের বাংলাদেশ। এ দুটি দলের ম্যাচ দিয়েই শুরু হবে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ। তারুণ্যে জোর দিয়ে নতুন দল গড়ছে আসিয়ান দেশটি।
র্যাংকিংয়ে ১৬০ নম্বরে থাকলেও নেপালকে নিয়ে নতুন কিছু বলার নেই; বর্তমান চ্যাম্পিয়ন তারা। দিন বিশেক আগে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে খেলে গেছে ঢাকা থেকে।
আরআই/আইএইচএস/এমএস